প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
জাতীয়তাবাদ ও আধুনিকতার সংমিশ্রণে দেশে বিজ্ঞানসম্মত জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ তে চালু করা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গুণগত শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তিকে সুদৃঢ় করা। শুক্রবার উদয়পুর রাজর্ষি কলা কেন্দ্রে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০’র নির্দেশিকা অনুসারে ৩ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুদের বুনিয়াদি পঠন ও গাণিতিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিপুণ ত্রিপুরা মিশনের উদ্বোধন করে এই কথা বলেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায় , গোমতী জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি দেবল দেবরায়, পৌর চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার সহ শিক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিকগণ । অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জাতিকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যেতে পারে একমাত্র শিক্ষাই। তাই বর্তমান সরকার শিক্ষার উপরই সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছে। উল্লেখ্য, নিপুণ ত্রিপুরার লক্ষ্য হচ্ছে ২০২৬-২৭-এর মধ্যে সমস্ত শিশুকে তৃতীয় শ্রেণীর শেষ পর্বে ভাষাগত ও গাণিতিক নৈপুণ্য অর্জনে সক্ষম করে তোলা অর্থাৎ শিশুদের অর্থ বুঝে পড়তে ও গুণতে পারায় দক্ষ করা। মিশন মুকুলের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সাথে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির সমন্বয় সাধন করা হবে। ফলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদের মধ্যে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পূর্বেই বিদ্যালয়ের শিক্ষা সম্বন্ধে প্রাথমিক ধারণা হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই ২৯টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্কুলের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, গত কয়েক বছরে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য যে সকল সংস্কার সাধন করা হয়েছে তার ফল রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে ৭-৮ বছর পর অবশ্যই পরিলক্ষিত হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ছাত্রছাত্রীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে সম মানসিকতা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পড়াশোনার বাতবরণ সৃষ্টি করতে হবে। কারণ শিক্ষক সমাজই আগামী প্রজন্মকে রাজ্য ও দেশ গড়ার যোগ্য করে তুলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা সরকারের এলিমেন্টারি এডুকেশন ডিরেক্টর শুভাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় । অনুষ্ঠানে জেলা শিক্ষা আধিকারিক, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকগণ, প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ উপস্থিত ছিলেন। একই সাথে এই বছর উদয়পুর বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে দ্বিতীয় ,তৃতীয় ও পঞ্চম স্থান অধিকারী ছাত্রদেরকে ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা জানান অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় সহ সকল অতিথিরা । পরবর্তী সময়ে একান্তে তাদের সাথে আলাপ করেন অর্থমন্ত্রী । তাদের আগামীর ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন তিনি । মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে ছাত্ররা তাদের মনের কথা খুলে বলে এদিন ।