ধর্মনগর প্রতিনিধি। যে নেশাকে সামলাবার জন্য রাজ্য সরকার উঠেপড়ে লেগেছে। নেশা মুক্ত ত্রিপুরা রাজ্য গঠনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ ডাক দিয়েছে। সেই নেশার কবরে ধর্মনগরের মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিস চত্বর। কিন্তু কোন ধরনের অভিযান বা মানুষের দ্বারা নেশার সাথে জড়িত তাদের ভয়ে প্রান্তের কোন সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। পরোক্ষে দপ্তরের কর্মকর্তাদের মদতে কিছু সংখ্যক সরকারি কর্মচারী এবং বেসরকারি কর্মচারী নেশার সাথে জড়িয়ে শুধুমাত্র নিজেদেরকে ধ্বংস করছে না ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অর্থাৎ সমাজের ক্ষতি করে চলেছে। ধর্মনগর মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট অফিস চত্বর হয়ে উঠেছে এর ইনকালে নেশা গ্রহণকারি মুক্তাঞ্চল। বাইরে কোথায় নেশা করলে পুলিশের ধরপাকড় বা একটা সামাজিক ভয় থেকে যায় কিন্তু এই মহকুমা রেজিস্ট্রেটের অফিস চত্বরে নেশা করলে কেউ ধরার মত ক্ষমতা করতে পারেনা। অর্থাৎ রক্ষকই ভক্ষকের ভূমিকায় এখানে অবতীর্ণ। মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিস চত্বরে পাওয়া যায় না এমন নেশার উপসর্গ কমই আছে। এখানে রয়েছে বিভিন্ন সাইজের বোতল, ইনজেকশনের সিরিঞ্জ এমনকি নির্দ্বিধায় যারা নিত্যদিনের কার্য অর্থাৎ প্রসাব করতে যায় তারা ও ভয়ে থাকে কখন তাদের পায়ে অবৈধ ইনজেকশনের সিরিজ প্রবেশ করে তা নিয়ে। কখনো কখনো আগে ধর্মনগরের মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিস এদিক সেদিক দারুণ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হতো। এখন দারোয়ানরা পর্যন্ত নেশার কবলে নিজেদেরকে যুক্ত করে নিয়েছে। শুধুমাত্র তাই নয় কিছু সংখ্যক অফিসের সরকারি কর্মচারী তাদের আলমারিতে বহুমূল্যবান সরকারি কাগজপত্র না রেখে মদের যাবতীয় সরঞ্জাম সঞ্চিত রাখে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। স্বাভাবিক নিয়মে বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর অফিস ছুটি হয়ে গেলে দেখা যায় কোন কোন দপ্তরে লাইট জ্বলছে এবং সেই লাইট জ্বলার আড়ালে নেশার সামগ্রীর ব্যবহার হচ্ছে। স্থানীয় বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন বেশ কয়েকবার সেইসব সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে পত্রপত্রিকার খবরের শিরোনামে চলে এসেছিলেন। বিভিন্ন কর্মচারী মহল থেকে উনার বিরুদ্ধে বিদ্রুপ উপস্থাপনা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন উনি বিধানসভার স্পিকারের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এই সব সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোন কিছু বলা এবং কোন ধরনের অভিযানে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন। তাই কর্মচারী মহলের একাংশ ভাবছেন স্থানীয় বিধায়ক যখন কিছু বলছেন না তাহলে নিজেদের ইচ্ছেমতো জীবনধারণ করাই ভালো। কিছু সংখ্যক কর্মচারীর অবৈধ টাকার রোজগার এবং সেই টাকা ব্যয় হয় নেশা সামগ্রী জোগাড় করতে। বিনিময়ে বেশ কিছু কর্মচারীর স্বাস্থ্য অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে যখন তখন তাদের ইহলোক ত্যাগ করে পরলোকের ডাক পড়ে যায়। তাই স্বাভাবিক ধর্মনগর বাসির প্রতিক্রিয়া হচ্ছে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে হলে পূর্বে ধর্মনগর মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিস নেশা মুক্ত গড়ে তুলতে হবে। এতে ধর্মনগর বাসী মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর প্রফেসর মানিক সাহার মুখাপেক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ধর্মনগর মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট অফিস চত্বরে নেশার সাম্রাজ্য, দপ্তর নির্ভিকার।
by admin
written by admin
80
previous post