প্রতিনিধি, বিশালগড় , ।। অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী রইলো রাজ্যবাসী। কসবেশ্বরী কালী মায়ের মন্দিরে জল ঢেলে বৃষ্টির জন্য আকুতি করে কয়েকশো ভক্ত। ভক্তদের বিশ্বাস একমাত্র মা ই পারে এই ধরনীকে রক্ষা করতে। তাই বৃহস্পতিবার ভক্তরা ভক্তিভরে জল ঢালেন মায়ের মন্দিরে। ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করে জাগ্রত মা কসবেশ্বরী। গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়েও বৃষ্টির দেখা নেই। প্রখর রোদে শুকিয়ে গিয়েছে পুকুর নদীনালার জল। চৌচির ধানের জমি। পুড়ে গিয়েছে জমির ফসল। তীব্র দাবদাহে অস্থির জনজীবন। তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে। জমির ফসল রক্ষা করতে কসবেশ্বরী মায়ের শরণাপন্ন হয়েছিলেন কমলাসাগর এলাকার মানুষ। বিশ্বাসকে পুঁজি করে বৃহস্পতিবার শতাধিক নরনারী কলসি বালতি নিয়ে দিঘিতে ডুব দিয়ে জল তুলে এনে মায়ের মন্দিরে ঢালতে থাকেন । শুরু হয় উলুধ্বনি শঙ্খধ্বনি। পুরোহিত মশাই বিশেষ মন্ত্রাচ্চোরণ করেন। এই জল ঢালা পর্ব শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় মুশলধারে বৃষ্টি। স্বস্তি ফিরে আসে জনজীবনে। কসবেশ্বরী মায়ের ইচ্ছেতেই সব সম্ভব বলে মনে করেন তারা। কারণ মা জাগ্রত। ৫৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী কসবেশ্বরী কালী মন্দিরে এমন অলৌকিক ঘটনা অনেক ঘটেছে বলে জানান স্থানীয়রা । একবার অনাবৃষ্টিতে খড়ায় ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছিল। খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছিলো। প্রজারা জলকষ্টে ভুগছিল। মহামারিতে মানুষের মৃত্যু শুরু হয়েছিল।তখন রাজন্য আমল। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন মহারাজা। মহারানী দিঘি খননের স্বপাদেশ পান। অবশেষে স্বপ্নাদেশ পেয়ে দিঘি খনন করেন মহারাজা। কিন্তু দিঘিতে জল উঠছিল না। মহারাণীর বিশেষ পূজার্চানায় কসবেশ্বরী মায়ের দয়ায় জলে পরিপূর্ণ হয় দিঘি। প্রজাদের দুঃখ দুর্দশা লাঘব হয়। এরপর থেকে বৃষ্টির জন্য প্রতিবছর দিঘির জল মন্দিরে ঢেলে মন্দির চত্বর পরিস্কার করতেন প্রজারা। মায়ের আশীর্বাদে বৃষ্টি হতো। শস্য শ্যামলাই ভরে উঠতো ধরনী। এই বিশ্বাস থেকেই সেখানকার নাগরিকরা বিপদের দিনে মায়ের শরণাপন্ন হয় । এবারের তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতেও মায়ের শরণাপন্ন হয়েছে তারা। ফলও মিলেছে। এনিয়ে দিনভর সামাজিক মাধ্যমে চলছে লেখালেখি। তবে বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে সেটাই বড়ো কথা।
114
previous post