Home » ২৫ তম সিসি রোড জনগণের জন্য উৎসর্গ করলো বিশালগড় পুর পরিষদ

২৫ তম সিসি রোড জনগণের জন্য উৎসর্গ করলো বিশালগড় পুর পরিষদ

by admin

প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৯ ডিসেম্বর।।
বিশালগড় পুর পরিষদের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে নবনির্মিত সিসি রোড জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় । শুক্রবার বিকালে এই নতুন কংক্রিট সড়কের উদ্বোধন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিশালগড় পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুশান্ত দেব, কাউন্সিলর নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী, রিমি ঘোষ, আগরতলা মহানাম অঙ্গনের সমাধিবন্ধু ব্রম্মচারী, বিশালগড় শ্রী শ্রী জগন্নাথ জিও মন্দিরের নন্দদুলাল ব্রম্মচারী প্রমুখ। স্বাগত ভাষণে পুর পরিষদের সিইও তথা মহকুমা শাসক বিনয় ভূষণ দাস বলেন পুর পরিষদ এলাকার সবগুলো রাস্তা কংক্রিটের করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকগুলি রাস্তা হয়ে গিয়েছে। দুই কোটি টাকা খরচে বিশালগড় পুর পরিষদ ভবনের নির্মাণ কাজ অচিরেই শুরু হবে। পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুশান্ত দেব বলেন বিশ্ব বরন্য দার্শনিক ড. মহানামব্রত ব্রম্মচারীর নামে রাস্তাটির নামকরণ হয়েছে। যিনি আমাদের সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে গৌরবান্বিত করেছেন তাঁর নামে রাস্তা হয়েছে। অর্থাৎ আমাদের সংস্কৃতি আমাদের উন্নয়নের আধার। তিনি বলেন বিশালগড়ের বিধায়ক ভানুলাল সাহা পুর পরিষদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে মানুষের পাশে না থেকে আমাদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তাই ভাইস চেয়ারম্যান সুশান্ত দেব মাত্র তিন বছরে পুর পরিষদের উন্নয়নের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। দুই বছর করোনা মহামারীর সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। এরপরেও পুর এলাকার সর্বাঙ্গিন বিকাশে আন্তরিক ছিল পুর বোর্ড। তাই এই অল্প সময়ের মধ্যে নতুন মাটি ভরাট করে রাস্তা হয়েছে ২৩ টি। কংক্রিটের রাস্তা হয়েছে ২৫ টি। ইট সলিং রাস্তা হয়েছে ১৯ টি। পাকা নিষ্কাশনী ড্রেইন হয়েছে ১১ টি। পানীয় জলের জন্য টিউবওয়েল ১৮৫ টি এবং সাবমার্সিবল ৪৭ টি দেয়া হয়েছে। কমিউনিটি টয়লেট হয়েছে ২ টি৷ পাবলিক টয়লেট হয়েছে ১২ টি। বিগত দিনে মহাশ্মশান ডাম্পিং স্টেশনে পরিনত হয়েছিল। আর এখন মহাশ্মশান জঞ্জাল মুক্ত করে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। মোটর স্ট্যান্ড থেকে অফিসটিলা পর্যন্ত আলোকমালায় সাজানো হয়েছে। বিজয় নদীর ওপর সেতুর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। স্ট্রিট লাইট সর্বত্র লাগানো হয়েছে। গোটা শহর সিসি ক্যামেরায় নজরদারির ব্যবস্থা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার শহর প্রকল্পে ২৩২৬ টি পরিবার ঘর পেয়েছে। একসময় ঘর নিয়ে দলবাজি হয়েছে। এখন সকলের জন্য ঘরের ব্যবস্থা হয়েছে। তিনি বলেন তিন বছর যে কাজ হয়েছে তা ১৩ বছরে সিপিএম করতে পারেনি। কারণ তাদের রাজনীতি ছাড়া কাজ করার মানসিকতা ছিল না। কিন্তু বর্তমান পুর বোর্ড প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গদর্শনে পুর বাসীর সার্বিক কল্যাণে কাজ করছে।

You may also like

Leave a Comment