Home » আটচল্লিশ ঘন্টা হয়ে গেল ৭২ ঘণ্টার পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আটচল্লিশ ঘন্টা হয়ে গেল ৭২ ঘণ্টার পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

by admin

ধর্মনগর প্রতিনিধি। ৭২ ঘন্টা অতিক্রম হয়ে গেছে অর্থাৎ রবিবারে ঝটকা হওয়ার পর যে বিদ্যুৎ গোলযোগ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তার তিনদিন হয়ে গেল। ৭২ ঘন্টা বা 96 ঘন্টা পরে বিদ্যুৎ গোলযোগ সারাই করার সম্ভাবনা বলেছে কর্মকর্তারা। জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার রাসেল নাথ ত্রিপুরা জানান বিদ্যুৎ দপ্তরের হাফলং এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বীরেশচন্দ্র পাড়াতে যে বিদ্যুৎ গোলযোগের যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে অর্থাৎ প্রায় ১০টি পিলার ভেঙে গেছে এই পিলার গুলি সাড়াই করা পর্যন্ত বিদ্যুৎ গোলযোগ সাড়াই করা যাবে না। এখন বিদ্যুৎ দপ্তর খবর পেয়েছে আম বাসায় আট দশটি অতিরিক্ত খুঁটি রয়েছে। এই খুঁটি এসে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। রবিবার দুপুরে ঝটকা হাওয়ায় বৈদ্যুতিক মনযোগ ছিন্ন হয়ে গেলেও আজ মঙ্গলবার অর্থাৎ আরো ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা লেগে যেতে পারে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে। অথচ মিশ্র জনজাতির বসবাস প্রায় ১০০ টি পরিবার রয়েছে এই এলাকায় এবং তাদের মূল ভরসা বিদ্যুৎ সংযোগ। একদিকে যেমন রাতের অন্ধকারে প্রচন্ড গরম সহ্য করে বিদ্যুৎ নেই বলে চালিয়ে যেতে হচ্ছে তেমনি পানীয় জলের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা হচ্ছে না, তাই লোকেরা নদী নালা ডোবার জল দিয়ে কোন মত তাদের আহারনিদ্রা ভয় পরিচালিত করছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের অবহেলার চিত্র ফুটে উঠল তাদের বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে। প্রায় ৭২ ঘন্টা অতিক্রম হওয়ার পরে বিদ্যুৎ দপ্তরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রাসেল নাথ ত্রিপুরা জানালেন এখানকার কয়েকটি খুঁটিয়ে ভেঙে গেছে এই খুঁটিগুলি মেরামত না করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। এখন আমবাসা খবর জেনে পাঠিয়েছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসতে পারে নতুবা ৯৬ ঘন্টা লাগবে বিদ্যুৎ আসতে। এরা কি স্বাধীন ভারতের নাগরিক নাকি পরাধীন ভারতের ব্রিটিশ শাসিত বোঝা দুষ্কর ব্যাপার। তার চেয়ে বিদ্যুৎ নিগম সরকারি ব্যবস্থাপনায় কিছুটা হলেও ভালো ছিল এখন সম্পূর্ণ প্রাইভেট হওয়ায় মানুষের দুর্গতির এক শেষ হিসাবে পর্যবেষিত হচ্ছে রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম। হায়রে বিদ্যুৎ সংযোগ ,হায়রে ভারতবাসি।

You may also like

Leave a Comment