ধর্মনগর প্রতিনিধি : পানিসাগর মহকুমার পেকুছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘটনা এখনো সরগরম রাজ্যের প্রশাসনিক মহলে। ৬ জুন তৃতীয় নোটিশ হওয়ার পর ৭ জুন অর্থাৎ শুক্রবার এলাকাবাসীরা ডেপুটেশন দিল জেলা বন আধিকারিক সুমন মল্লর কাছে। এলাকাবাসীর বক্তব্য বন দপ্তরের আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে সমান ব্যবস্থা প্রয়োগ করতে হবে। এই এলাকায় ৩৬ টি পরিবার জাইকা প্রজেক্টের জায়গা দখল করে দীর্ঘ পাঁচ ছয় বছর যাবৎ বসবাস করছে। তাদের নামে ও নোটিশ করা হয়েছিল কিন্তু তারা নোটিশের জবাব দেয়নি। গত একমাস যাবত কাঞ্চনপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে যে ৩০ থেকে ৩৫টি পরিবার এসে অস্থায়ীভাবে জায়গা দখল করে আছে তাদেরকে পরপর তিনটি নোটিশ বন দপ্তর থেকে ধরিয়ে দেওয়া হল এবং গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তৃতীয় নোটিশ ছয় জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর মাইক সহযোগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদেরকে উচ্ছে দ করা হবে। কিন্তু এলাকাবাসীর বক্তব্য হলো উচ্ছেদ করা হলে পূর্বের যে ৩৬ টি পরিবার রয়েছে তাদেরও একই সাথে উচ্ছেদ করতে হবে। না হলে কেউ ই এই এলাকা ছাড়বে না। এমনকি আরক্ষা দপ্তরের সহযোগিতায় এই এলাকা ছাড়া দুর্ভ্যাদ্য হয়ে দাঁড়াবে। কারণ সরকারি নিয়ম সবার ক্ষেত্রে একই রকম। যারা পাঁচ বছর আগে এসেছে এবং বনদপ্তরের জায়গা দখল করেছে তাদের ক্ষেত্রে যে নিয়ম ইদানিং কাঞ্চনপুরের বিভিন্ন মহকুমা থেকে আসা ৩০-৩৫ টি পরিবারের ক্ষেত্রে ও এই নিয়ম কার্যকর হতে বাধ্য। তা নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীরা উত্তর জেলার বন আধিকারিক সুমন মল্লর কাছে এক ডেপোটেশন দেয়। সম্পূর্ণ ব্যাপারটি এখন দাঁড়াচ্ছে মানবিকতার নিদর্শন হিসেবে কি সিদ্ধান্ত হয় তাই দেখার।
75
previous post