ধর্মনগর প্রতিনিধি।
রাজ্য তথা দেশজুড়ে যেভাবে দুর্ঘটনার পরিমাণ বেড়ে চলেছে তা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। কেমন করে দুর্ঘটনা কমানো যায় এবং দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যুর হার কমিয়ে সুন্নতে নিয়ে আসা যায় তা নিয়ে সমগ্র দেশ জুড়ে চলছে একের পর এক সচেতনতা শিবির। রাজ্যেও প্রতিদিন দুর্ঘটনা জনিত কারণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে মানুষ। উত্তর জেলাতেও অত্যাধিক ভাবে দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যু বেড়েই চলেছে। স্থানে স্থানে কেমন করে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় তা নিয়ে সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হচ্ছে ।এই সচেতনতা শিবিরের খবরা খবর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সোশ্যাল মিডিয়াতে এবং নিউজ চ্যানেল গুলিতে পরিবেশিত হচ্ছে। তারপরও মানুষের মধ্যে সচেতনতা এখনো গড়ে ওঠেনি বলে বলেন উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী। মানুষকে দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য প্রতিদিন স্থানে স্থানে ট্রাফিক দপ্তরের পক্ষ থেকে ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ফাইন করা হচ্ছে আবার লাইসেন্স সিজ করা হচ্ছে। এগুলি সরকারের বা ট্রাফিক পুলিশের লাভের জন্য নয় মানুষের জীবনকে মূল্য দিয়ে তাকে বাঁচানোর জন্য করা হচ্ছে। তবুও মানুষের মধ্যে ট্রাফিক আইন ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা এখনো রয়ে গেছে। পানিসাগর আনন্দবাজার কাঞ্চনপুর এবং চন্দ্রপুর এর দুর্ঘটনার জন্য ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারী প্রবণতাকে পুলিশ সুপার দায়ী করেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে সামান্যতম অসাবধানতার কারণে জীবন চলে যাচ্ছে। উপস্থিত যান চালকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনাদের গুরুত্ব সমাজে অপরিসীম। আপনারা প্রত্যেকে সামাজিক কাজ করে চলেছেন। তাই যথাসম্ভব সাবধানতা অবলম্বন করে যানবাহন চালানোর চেষ্টা করবেন এবং লক্ষ্য রাখবেন যানবাহনের গতি যাতে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি না পায়। এই সচেতনতা মূলক শিবিরের দুর্ঘটনা ছাড়াও পুলিশ সুপার সাইবার ক্রাইম থেকে মানুষকে বাঁচাতে এবং নিজেদেরকে রক্ষা করতে কি কি করণীয় তা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। এই সচেতনতামূলক শিবিরে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএমএস এর উত্তর জেলা সভাপতি সুব্রত রুদ্র পাল, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাশীষ সাহা, ধর্মনগর থানার ওসি নাড়ুগোপাল দেব সহ অন্যান্যরা।
বাহন চালকদের এবং মালিকদের উপস্থিতিতে ধর্মনগরের বিএমএস হলে একদিনের সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত।
123
previous post