ধর্মনগর প্রতিনিধি।
আজ ৫ই জুন, ২০২৩ গেট টুগেদারের মাধ্যমে সমাপ্তি হয় কলা মন্ডলের ৩৭ বছর পূর্তি উৎসব।
প্রস্তুতি কমিটি গঠন হয়েছিল ২০শে এপ্রিল এবং তারপর থেকে কলা মন্ডলের নৃত্য বিভাগ, সংগীত বিভাগ এবং তবলা বিভাগ অনুশীলন শুরু করে দেয়। গত ২০শে মে – ২৪ শে মে, ২০২৩ হয় লোক নৃত্যের কর্মশালা প্রশিক্ষক ছিলেন শিলচরের বিখ্যাত নৃত্য গুরু সৌমিত্র শংকর চৌধুরী মহাশয়। তারপর ২৯ মে – ২রা জুন, 2023 হয় কত্থক নৃত্যের কর্মশালা প্রশিক্ষক ছিলেন দিল্লির পন্ডিত কিষাণ মোহন মহারাজ এবং মিনু গারু ৩০শে মে – তরা জুন, ২০২৩ হয় শাস্ত্রীয় সংগীতের কর্মশালা প্রশিক্ষক ছিলেন চট্টগ্রাম বাংলাদেশের পন্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তী। তিনটি কর্মশালায় প্রায় দেড় শতাধিক শিল্পী অংশগ্রহণ করেন। উত্তর ত্রিপুরা, ধলাই ত্রিপুরা, ঊনকোটি ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের শিল্পীরা এই কর্মশালায় অংশ নিয়েছিল।
কলা মন্ডলের নৃত্য গুরু জবা ঘোষ সূত্রধর, সংগীত গুরু সোমা দেব এবং তবলা গুরু দুলাল আচার্যের পরিচালনায় নিবিড় অনুশীলনের মাধ্যমে কলা মন্ডলের শিল্পী বৃন্দ কর্মশালা ভিত্তিক অনুষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন আঙ্গিকের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেয়।যার মধ্যে রয়েছে কত্থক প্রবাহ (ম্যারাথন) এর প্রস্তুতি এই কত্থক প্রবাহে প্রায় ২০ জন একক শিল্পী বৃন্দ নৃত্য গুরু জবা ঘোষের পরিচালনায়, কলামন্ডলের প্রায় শতাধিক কত্থক শিল্পীঅংশগ্রহণ করেন। এছাড়া রমাকান্ত কলা নিকেতন, শান্তির বাজার, কমলপুরের শিল্পীরাও কত্থক নৃত্য উপস্থাপন করেন। ধর্মনগরে এই প্রথমবার ম্যারাথন কত্থক উপস্থাপিত হয়েছে। প্রায় নয় ঘন্টা ব্যাপী কত্থক নৃত্য পরিবেশিত হয় ২রা জুন বিবেকানন্দ সার্ধশতবার্ষিকী ভবনে। এই কত্থক প্রবাহে বাংলাদেশের শিল্পী সাজু দেব, দিল্লির শ্রীমতি মিনু গারু এবং আসামের হীমাশ্রী শর্মা কত্থক নৃত্য পরিবেশন করেন। তিনটি কর্মশালা এবং কলা মন্ডলের শিল্পীদের প্রস্তুতি নিয়ে ২রা জুন – ৪ঠা জুন বিবেকানন্দ সার্ধশতবার্ষিকী ভবনে মঞ্চ অনুষ্ঠান হয়। এই মঞ্চ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন উত্তর ত্রিপুরা জেলার প্রধান শিল্পী শ্রদ্ধেয় বেনুভূষণ নাথ মহাশয় ।প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্মনগর রোটারি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান সুবির সোম, বিশেষ অতিথি রূপে ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সমাজ সেবী শ্রী অসমঞ্জু চৌধুরী মহাশয় সহ দিল্লির পণ্ডিত কিষান মোহন মহারাজ, বাংলাদেশের পন্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তী।
২রা জুন সরস্বতী বন্দনার মাধ্যমে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী মঞ্চ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন। তারপর প্রায় ৪০ জন তবলা শিল্পী তবলা গুরু দুলাল আচার্যের পরিচালনায় তবলা লহরা পরিবেশন করেন। ক্রমে একক কত্থক নৃত্য শিল্পীরা এবং দলগত কত্থক শিল্পীরা নৃত্য উপস্থাপন করেন। ২রা জুন প্রায় ৯ ঘন্টা কত্থক নৃত্য উপস্থাপিত হয়। এই কত্থক প্রবাহের পরিচালনায় ছিলেন দিল্লির পন্ডিত কিষাণ মোহন মহারাজ, মিনু গারু, কলা মন্ডলের নৃত্যগুরু শ্রীমতি জবা ঘোষ সূত্রধর, অনিমিতা, শতরূপা পলি, দীপশিখা, প্রিয়া, সঞ্জয়, ডঃ প্রসিতা ঘোষ, সায়ন্তিকা দে। কত্থক প্রবাহের সঙ্গতশিল্পীরা হলেন শ্রী সুব্রত নাথ, শ্রী অশোক নাথ, শ্রী বিশ্বজিৎ দত্ত,শুভঙ্করী আচার্য লাখি পাল, তবলা গুরু দুলাল আচার্য, সেতার শিল্পী পিংকু নাথ সহ অন্যান্যরা।
৩রা জুন, ২০২৩ কলা মন্ডলের মঞ্চ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন। এই দিনে মঞ্চ অনুষ্ঠান শুরুর আগে দেশের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের আত্মার সদগতি কামনা করে দুই মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে শোক জ্ঞাপন করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে শাস্ত্রীয় সংগীতের কর্মশালার শিল্পীরা পন্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর পরিচালনায় শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেন। পরে পন্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তী এককভাবে শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেন। কলা মন্ডলের শিল্পীরা দলগত সংগীত ও দলগত নৃত্য উপস্থাপন করে। ক্রমে বাংলাদেশের নৃত্যাঙ্গন, শ্রীমঙ্গল এর শিল্পীরা, ভরতনাট্যম শিল্পী বিলোনিয়ার ঝুমুর রানী দেব, একক সংগীতশিল্পী মিনাক্ষ নাথ, বাউল শিল্পী লাখি পাল সংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়া লোকনৃত্য কর্মশালার শিল্পী বৃন্দ পরিবেশন করেন লোকনৃত্যনাট্য- “আমার বাংলা”। অভূতপূর্ব উপস্থাপনা লোকনৃত্যনাট্য “আমার বাংলা” সকলের মন জয় করে নিয়েছে কলা মন্ডলের শিল্পী বৃন্দদের। শেষ দিন ৪ঠা জুন এ আবার এক ঝাঁক তবলা শিল্পী বৃন্দের তবলা লহরার মাধ্যমে শুরু হয় শেষ দিনের অনুষ্ঠান। মঞ্চে দলগত সংগীত, কচিকাঁচাদের দলগত নৃত্য সহ একক সংগীতশিল্পীবৃন্দরা শ্রী দুলাল আচার্য, শ্রীমতি রুমা চক্রবর্তী, শ্রীমতি শুভঙ্করী আচার্য, ড: দীপাঞ্জনা পাল, শ্রীমতি শতাব্দি আচার্য, শ্রী সুব্রত চক্রবর্তী মঞ্চে সঙ্গীত পর…
কলা মন্ডল ধর্মনগর এর ৩৭ বছর পূর্তি উৎসবের সমাপ্তি
122
previous post