Home » বিশ্রামগঞ্জ দ্বাদশ পেলো সর্বসুবিধা যুক্ত সুদৃশ্য পাকা ভবন

বিশ্রামগঞ্জ দ্বাদশ পেলো সর্বসুবিধা যুক্ত সুদৃশ্য পাকা ভবন

by admin

প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৫ অক্টোবর।। বিশ্রামগঞ্জ দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয় পেলো সর্বসুবিধা যুক্ত সুদৃশ্য নয়া পাকা ভবন। শনিবার বৃষ্টিস্নাত বিকালে সুদৃশ্য দ্বিতল স্কুল বিল্ডিং এর ফলক উন্মোচন করেন তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল যীষ্ণু দেববর্মন এবং মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার হাত ধরে। শেষে স্কুলের হল ঘরে হয় এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান। প্রদীপ প্রজ্জলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন তেলেঙ্গানা রাজ্যের রাজ্যপাল জিষ্ণু দেববর্মন এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: প্রফেসর মানিক সাহা। চড়িলামের বিধায়ক তথা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দায়িত্বে থাকাকালীন বিশ্রামগঞ্জ স্কুলটির উন্নয়নে হাত দেন যীষ্ণু দেববর্মন। আধুনিকীকরণের জন্য সরকার অর্থ মঞ্জুর করেন ৭ কোটি ৮০ লক্ষ ১৮ হাজার ৭০০ টাকা। নতুন স্কুল তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয় আরডি দপ্তরকে। ২০২২ সালে কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালের মধ্যে স্কুলের কাজ শেষ হয়। সুদৃশ্য নতুন বিল্ডিং এ রয়েছে ১৪ টি ক্লাস রুম দুইটি স্টাফ রুম একটি ল্যাব এবং একটি ম্যাথমেটিক্স ল্যাব একটি কেমিস্ট্রি ল্যাব একটি ফিজিক্স ল্যাব একটি প্রিন্সিপাল রুম একটি ভাইস প্রিন্সিপাল রুম একটি বায়ু ল্যাব ক্যাশ একাউন্ট সেকশন অফিস রুম এবং ৭০০ ক্যাপাসিটি বিশিষ্ট অডিটোরিয়াম। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্রামগঞ্জ স্কুল। স্কুলটিতে বর্তমানে রয়েছে ১৩০০ জন ছাত্রছাত্রী। স্কুলটিকে বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পে সি বি এস ই বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী এবং তেলেঙ্গানা রাজ্যপালকে বাঁশ বেতের তৈরি নীরমহলের স্মারক দিয়ে সম্মাননা প্রদান করেন স্কুলের প্রিন্সিপাল চিরকুমার দেববর্মা এবং ভাইস প্রিন্সিপাল সজল দেববর্মা। আলোচনা করতে গিয়ে তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল জিষ্ণু দেব বর্মন বলেন বিশ্রামগঞ্জ স্কুলের একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। স্কুলটি তে রয়েছে বাঙালি উপজাতি এবং মুসলিম সমস্ত অংশের ছাত্রছাত্রী। জাতি উপজাতির মেলবন্ধনের তীর্থস্থান বিশ্রামগঞ্জ এলাকা এবং বিশ্রামগঞ্জের এই স্কুল। এই স্কুল থেকে ভালোভাবে পড়াশোনা করে অনেকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার খেলোয়ার রাজনীতিবিদ তৈরি হয়েছে । অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন শুধু ভালো লেখাপড়া করলেই মানুষ হওয়া যায় না। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা যোগা এবং সাংস্কৃতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা এবং চর্চা করতে হবে। লেখাপড়া করে বড় হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে । মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে প্রি প্রাইমারি শিক্ষা থেকে শুরু করে বুনিয়াদি শিক্ষা সহ রাজ্যের এবং রাজ্য সরকারের শিক্ষা বিষয়ক সমস্ত পরিকল্পনা গুলো অনুষ্ঠানে তুলে ধরে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আদর্শ মানুষ হওয়ার পরামর্শ দেন । অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার ।এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক ডক্টর সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল, চড়িলাম বিধানসভার বিধায়ক সুবোধ দেববর্মা, শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা নৃপেন্দ্র চন্দ্র শর্মা, সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজীব সূত্রধর। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সিপাহীজলা জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত। অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রীরা সংগীত নৃত্য পরিবেশন করেন।

You may also like

Leave a Comment