প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
নীরমহলটি হল ত্রিপুরা রাজ্যের একটি প্রাক্তন রাজকীয় প্রাসাদ , যা ১৯৩০ সালে মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুর দ্বারা নির্মিত হয়েছিল । এটি ভারতের বৃহত্তম জলপ্রাসাদও । প্রাসাদটি ত্রিপুরার পুরাতন রাজধানী উদয়পুর থেকে ৩৭ কিলোমিটার দূরে মেলাঘরে রুদ্রসাগর হ্রদে মাঝখানে অবস্থিত । ত্রিপুরার ‘লেক প্যালেস’, নীর-মহল রাজপরিবারের গ্রীষ্মকালীন বাসস্থান হিসাবে নির্মিত হয়েছিল। ‘ মাণিক্য রাজবংশ’ – এর মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য দেববর্মা , যা আজ বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম অবশিষ্ট রাজবংশ বলে মনে করা হয় । বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে রুদ্রসাগরের নৌকা বিহার করে যেতে হয় নীরমহলে । বর্তমানে পর্যটন দপ্তর থেকে এই নীলমহলকে সাজিয়ে তোলার জন্য লাইটিং শো গড়ে তোলা হয়েছে । দেশ থেকে বিদেশ এবং পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে বহু পর্যটক ছুটে আসেন ত্রিপুরার এই নীরমহল দেখার জন্য । গত কিছুদিন আগে ত্রিপুরায় জি-২০ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এই রাজ্যে এসেছিলেন । সে সকল প্রতিনিধিরা ঘুরে গিয়েছেন রাজপ্রাসাদ নীরমহলটিকে । যুগের পর যুগ আজও ঠাঁই দাঁড়িয়ে রয়েছে রাজন্য আমলের সেই রাজপ্রাসাদটি । রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ এবং বিদেশের দরবারেও ত্রিপুরার নাম এখনো উজ্জ্বল করে রেখেছে রুদ্র সাগরের এই নীর মহল । আমরা তুলে ধরেছি জানা-অজানা নানা তথ্য । রাজ্যের বুকে হালকা শীত পড়তে না পড়তেই উৎসবের মরশুমে পর্যটকরা ভিড় জমাতে শুরু করেছে নীর মহলে । অপরূপ সৌন্দর্য যেন হাতছানি দিয়ে ডাকতে শুরু করেছে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষদেরকে। কার্তিক মাস শুরু হয়ে গেলেও এখনো ততটা শীত পড়েনি রাজ্যে। কিন্তু শীতের আমেজ যত বাড়তে থাকবে ততই পরিচয় পাখিরা ভীড় জমাবে রুদ্র সাগরে । যা অপরূপ দৃশ্য সোনালী রৌদ্রে মাখা রাজপ্রাসাদ কে আরো উজ্জ্বল ও মুখরিত করে তোলে । বর্তমান রাজ্য সরকার পর্যটকদের সুবিধার্থে পাকা সড়ক পথ থেকে শুরু করে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গড়ে তুলেছে রুদ্র সাগরের পারে একটি বড় বিশালাকার সেড ঘর । রয়েছে তার চারদিকে মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য । বহু স্মৃতি বিজড়িত এই নীরমহল আজও তার শুভা বর্ধন করে চলেছে রাজ্যের বুকে ।