Home » ধর্মনগরে কিছু সংখ্যক রেল কর্মীর অবহেলায় সাধারণ যাত্রীরা হেনস্থার শিকার আবার ক্ষতির তালিকায় রেল মন্ত্রক।

ধর্মনগরে কিছু সংখ্যক রেল কর্মীর অবহেলায় সাধারণ যাত্রীরা হেনস্থার শিকার আবার ক্ষতির তালিকায় রেল মন্ত্রক।

by admin

ধর্মনগর প্রতিনিধি।
২০১৮ সালের পর থেকে ইদানিং রেল একটি গুরুত্বপূর্ণ যানবাহন হয়ে দাঁড়িয়েছে ত্রিপুরা বাসীর কাছে। এখন ধর্মনগর থেকে আগরতলা বা রাজ্যের অন্যত্র যাতায়াতের জন্য সাধারণ মানুষ রেল ছাড়া অন্য কিছুর কথা ভাবতেই পারে না। তাছাড়াও আগে ধর্মনগর থেকে গোহাটি যাওয়ার জন্য নৈশ কালীন বাস সার্ভিসের উপর মানুষের একটা আস্থা ছিল। এখন আর নৈশকালীন বাস সার্ভিস এর উপর আস্থা হারিয়ে মানুষ শুধুমাত্র রেলের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বেছে নিয়েছে। তাই ধর্মনগরবাসীর জন্য যাতায়াতের ক্ষেত্রে রেল একটি অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধুমাত্র গৌহাটি নয় শিলচর করিমগঞ্জ বদরপুর সহ আসামের প্রতিটি জায়গায় যাতায়াতের জন্য রেল ই হচ্ছে ধর্মনগরবাসীর ক্ষেত্রে একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম। কারণ ধর্মনগর থেকে বিমানযোগে বের হওয়ার মত কোন রাস্তা নেই এবং সাধারণ নিম্ন বিও পরিবারের কাছে রেল ছাড়া বিকল্প অন্য কোন ব্যবস্থা নেই। কিন্তু ত্রিপুরাবাসীর অন্যান্য জায়গার মানুষের চেয়ে একটা ব্যতিক্রমী ভাব রয়েছে যেটা হচ্ছে টিকেট ছাড়া অসম্ভব কোন ব্যাপার না হলে এই রাজ্যের রেল যাত্রীরা রেল চরে না। তাই প্রত্যেকটি যাত্রীর একটা অভ্যাস হয়ে গেছে রেলস্টেশনে গিয়ে আগে টিকিট করা তারপর জায়গায় নিয়ে রেলে চলবে। প্রতিদিন সকালে ধর্মনগর থেকে পাঁচটা চল্লিশে আগরতলার উদ্দেশ্যে একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন যাচ্ছে এবং সপ্তাহের দুই দিন ধর্মনগর থেকে শিলচরের উদ্দেশ্যে সকাল সাড়ে পাঁচটায় একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন যাচ্ছে। প্রায়ই দেখা যাচ্ছে ট্রেনের সময় যখন ছুঁই চুই ঠিক তখন এসে রেল কর্মীরা টিকিট কাউন্টার খুলে বসেন। অথচ যাত্রীরা এক দেড় ঘন্টা আগ থেকে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে কখন রেলের টিকিট কাউন্টার খুলবে তারা টিকিট কাটবে এবং নিজ আসন গ্রহণ করে রেলে যাতায়াত করবে। ৩১ আগস্ট থেকে এই নিদারুণ অবস্থা আরো স্পষ্ট হয়ে গেছে। রেল ছাড়ার মাত্র পাঁচ মিনিট আগে টিকিট কাউন্টার খোলা হয়েছিল শত শত মানুষ অপেক্ষা করছিল কখন টিকিট কাউন্টার খুলবে। এদিকে রেলের সময় হয়ে যাওয়ায় অনেকেই টিকিট না কেটে দৌড়ে দৌড়ে অনুক্রমে রেলে উঠতে হচ্ছে। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন ধরনের যান্ত্রিক গোলযোগ বা অন্য কোন ত্রুটির জন্য এই দেরী বলে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে না। এতে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের চূড়ান্ত ভোগান্তি এমনকি দুর্ঘটনারও সম্ভাবনা থেকে যায় তেমনি রেল কর্তৃপক্ষের টিকিট না কাটার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ত্রিপুরা বাসীদের মধ্যে যে টিকিট না কেটে রেলের চলাচল করব না এ মনোবৃত্তি কতিপয় রেল কর্মচারীর দায়িত্বে অবহেলার কারণে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

You may also like

Leave a Comment