
প্রতিনিধি মোহনপুর:-পরিকাঠামগত সমস্যা থাকতেই পারে। কিন্তু তারপরেও চিকিৎসা পরিষেবাতে পিছিয়ে নেই মোহনপুর ভেটেনারি হাসপাতাল।বৃহস্পতিবার কুকুরের আক্রমণে এক ছাগলের পাকস্থলী বেরিয়ে আসার ঘটনায় হাসপাতালেই সার্জারির মধ্য দিয়ে সুস্থ করা হয় ছাগলটিকে।
মোহনপুর বিধানসভা এলাকার জগৎপুর গ্রামের নিবাসী বিমল দেবনাথ। খুব একটা সচ্ছল পরিবারের লোক নন তিনি। যা রোজগার হয় তার পাশাপাশি ছাগল পালনের মধ্য দিয়ে উঠে আসে বাড়তি রোজগার। বৃহস্পতিবার উনার একটি ছাগলকে একাধিক কুকুর ঘিরে ধরে কামড়ে গুরুতর আহত করে। কুকুরের কামড়ে পেট চিরে পাকস্থলী বেরিয়ে আসে ছাগলের। এই ঘটনা চাক্ষুষ করে হতবাক বিমল সমেত তার পরিবার। সঙ্গে সঙ্গে ছাগলটিকে নিয়ে আসা হয় মোহনপুর প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের প্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্রে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিদ্ধান্ত করেন এই হাসপাতালেই সার্জারির মধ্য দিয়ে ছাগলটিকে সুস্থ করে তোলার। শুরু হয় চিকিৎসা। দীর্ঘ সময় সার্জারি করার মধ্য দিয়ে ছাগলের পেটের ভেতর পুনরায় পাকস্থলী ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুনরায় ছাগলটি দাঁড়ায় এবং চলাফেরা করতে শুরু করে। মোহনপুর এলাকায় ছাগলের এই ধরনের সার্জারি একেবারেই বিরল। এদিন এই ছাগলটিকে সুস্থ করে তুলতে তৎপর হয়েছিলেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর তথা মোহনপুর ভেটেনারি হাসপাতালের চিকিৎসক তপন রায়, প্রাণী চিকিৎসক পায়েল দে এবং প্রাণি চিকিৎসক সেমাশ্রী দেব। দূরদূরান্তে ছোটাছুটি না করে মোহনপুরের হাসপাতাল থেকে ছাগলের এই চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ায় অত্যন্ত খুশি ছাগল মালিক। এই চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন তিনি।