ধর্মনগর প্রতিনিধি।
যুবরাজ নগর বিধানসভা এলাকায় রাজনগর জেবি স্কুলটি অবস্থিত। আসাম থেকে আগরতলা যাওয়ার যে বিকল্প জাতীয় সড়ক নির্মাণ হয়েছে তার পাশেই এই বিদ্যালয়টি। যখন এজেন্সি রাস্তার কাজ করে তখন বিদ্যালয়ের রান্নাঘর এবং টয়লেট ভাঙ্গা পরে। এজেন্সির ঠিকেদার কথা দিয়েছিল স্কুলের সীমানায় পাকা ওয়াল তৈরি করা যাবে। জেলা পরিষদের সদস্য এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু এত মাস অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর ও এজেন্সি বিদ্যালয়ের পাকা দেওয়ার এখনো তৈরি করে দেয়নি। এমনকি স্কুল কর্তৃপক্ষ তিন দিয়ে একটি বাউন্ডারি দিয়েছিল কিন্তু এজেন্সি এই বাউন্ডারি তুলে দিয়ে বলে এর কোন দরকার নেই পাকা দেওয়ার তৈরি করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে স্কুলের সীমানার দিকে দুইদিন দুটি ছাত্র পড়ে গিয়ে তাদের হাত ভাঙ্গে। স্কুলের এসএমসি কমিটির চেয়ারম্যান অজিত নাথ বেশ কয়েকবার যুবরাজ নগরের স্কুল ইন্সপেক্টর সীমান্ত পাল এর সাথে দেখা করেন স্কুলের পিকা দেওয়াল নির্মাণের জন্য। কিন্তু কেউ এ কথায় কর্ণপাত করে না। এই বিদ্যালয়ে একচল্লিশ জন ছাত্রছাত্রী এবং তিনজন শিক্ষক রয়েছে। অবশেষে সোমবার ধর্মনগর কৈলা শহরের মূল রাস্তা অবরোধ করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। খবর পেয়ে স্কুল ইন্সপেক্টর সীমান্ত পাল ছুটে আসেন এবং ঠিকাদারের সাথে কথা বলে অতিসত্বর স্কুলের পাকা দেওয়াল এবং টয়লেট তৈরি করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। আধ ঘন্টার ওপর রাস্তা অবরোধ থাকার পর স্কুল ইন্সপেক্টর এর আশ্বাসে অবরোধ মুক্ত হয়। উল্লেখ্য টয়লেট না থাকায় ছাত্রছাত্রীরা জরুরি প্রয়োজনে ছুটি নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। এভাবেই দিনের পর দিন চলছে স্কুলটির অবস্থা। স্কুল ইন্সপেক্টর থেকে শুরু করে এস এম সি কমিটির চেয়ারম্যান প্রত্যেকেই ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে এবং অতিসত্বর কুলের বাউন্ডারি রান্নাঘর ও টয়লেট তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন। জানা গেছে রাস্তা নির্মাণের জন্য এজেন্সি যে জায়গা অতিগ্রহণ করেছে তার টাকা পর্যন্ত দপ্তরকে এখনো দেওয়া হয়নি।
ধর্মনগর কৈলাশহর রাস্তা এর প্রায় এক ঘন্টা অবরোধ থাকার পর মুক্ত হল।
102