
তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে এবং কালচারাল সেল এর পরিচালনায় সোমবার খোয়াই নতুন টাউন হলে আয়োজিত হলো জেলা ভিত্তিক গুরু পূর্ণিমা এবং গুরু সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। এই দিন প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠানীক সূচনা করেন ত্রিপুরা বিধানসভার মাননীয়া মুখ্য সচেতক শ্রীমতি কল্যাণী রায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী। বিশেষ ও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য সুব্রত মজুমদার, খোয়াই পৌর পরিষদের চেয়ারপারসন দেবাশীষ নাথ শর্মা এবং জেলাশাসক ডি কে চাকমা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খোয়াই জেলা পরিষদের জেলা সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক কল্যাণী রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন আমাদের জীবনে প্রথম শিক্ষাগুরু হচ্ছে মাতা – পিতা ।জীবনের প্রথম তারাই আমাদের হাটা চলা, কথা বলা শিখিয়েছে । প্রথম অ,আ তাদের কাছ থেকে প্রথম শুনতে পেয়েছি এবং শিক্ষা লাভ করেছি। জীবনে চলার পথে বাধা বিপত্তি কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতিতে পিতা মাতা এবং গুরুজনদের সম্মান করা একটা ঐতিহ্য। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে আমরা আমাদের এই ঐতিহ্য কে হারিয়ে ফেলেছি। বর্তমান প্রজন্মকে মাতা পিতার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং সমাজের গুণী ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে হবে তবেই আমরা সুন্দর, সুশৃংখল সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারব। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী বলেন সুন্দর এবং সুষ্ঠু সমাজ ব্যবস্থা তখনই গড়ে উঠবে যখন আমরা গুণীজনদের প্রতি সর্বদা বিনর্মশ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারব। আমাদের জীবন গড়ার ক্ষেত্রে পিতা মাতার যেমন অবদান রয়েছে তেমনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের অনেক অবদান রয়েছে ,সেটা ভুলে গেলে চলবে না। গুনিরা সর্বদাই শ্রদ্ধাভাজন তাদের জ্ঞান অপরিসীম। উনারা সর্বদা সকল স্থানে পূজিত হন। এই ধরনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে তিনি নিজেকে কৃতজ্ঞ মনে করছেন। এদিন অনুষ্ঠানে খোয়াই এর পাঁচজন গুনি ব্যক্তিদেরকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় কালচারাল সেলের পক্ষ থেকে।