প্রতিনিধি, বিশালগড়, ৩ জুন।। বিশালগড় মহিলা থানার ওসি শিউলি দাসের ব্যাক্তিগত গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটে সোমবার সন্ধ্যে পৌনে ছয়টায়। ওসি কে থানায় নামিয়ে দিয়ে চালক একাই গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিল। তখন বিশালগড় উত্তর বাজারে কয়েকজন দুষ্কৃতি চালককে মারধোর করে গাড়িটি নিয়ে চম্পট দেয়। কুখ্যাত সমাজদ্রোহী জুয়েল মিয়া ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এ কান্ড সংগঠিত করেছে। মূহুর্তের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত ময়দানে নেমে পড়ে পুলিশ। অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার রাজীব সূত্রধর, এসডিপিও দুলাল দত্ত, বিশালগড় থানার ওসি সঞ্জিত সেন দ্রুত অভিযান শুরু করে। থানায় ছুটে যান আইজি আইনশৃঙ্খলা মঞ্চাক ইপ্পার। আইজি আইনশৃঙ্খলা জানিয়েছেন কোন অপরাধী রেহাই পাবে না। তিনি আরো জানান রাজ্যে অপরাধের মাত্রা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। এখনো যারা সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে চলেছে প্রশাসন । রাত একটায় থানায় ছুটে যান বিধায়ক সুশান্ত দেব। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে গাড়ি উদ্ধার এবং দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতারের সময়সীমা বেঁধে দেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। যথারীতি পুলিশের অভিযান তীব্র হয়। নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়ে ময়দানে ঝাঁপিয়েছে পুলিশ। অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে গাড়িটি উদ্ধার হয়। বক্সনগরের ভেলুয়ারচরে গাড়িটা লুকিয়ে রেখেছিল দুষ্কৃতীরা। সেখান থেকে গাড়িটি উদ্ধার করতে পারলেও দুষ্কৃতকারীদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সিপাহীজলা জেলা পুলিশ সুপার বিজয় দেববর্মা। তিনি জানান অতি শীঘ্রই দুষ্কৃতকারীদের মূল পান্ডা জুয়েল হোসেনকে গ্রেফতার করা হবে। তাকে গ্রেফতার করার পর তা সহযোগী দুষ্কৃতকারীদের নামধাম জানা যাবে। ঘটনা সঙ্গে যারাই যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার। জেলা পুলিশ সুপার জানান ছিনতাই হওয়া গাড়ি পুলিশের নয়। এটি থানার ওসির ব্যক্তিগত গাড়ি। গত কয়েকদিন আগে এই গাড়িটি তিনি ক্রয় করেছিলেন। গাড়িটির মালিক সুরজিৎ রায় পানিসাগরের বাসিন্দা । পরবর্তীকালে তিনি গাড়িটি বিশালগড়ের জুয়েল হোসেন এর কাছে বিক্রি করে দেন। কিন্তু জুয়েল হোসেন সময় মতো কিস্তি পরিশোধ না করায় ফাইন্যান্স কোম্পানি গাড়িটি তুলে নেয়। এভাবে দুই তিন হাত বদল হয়ে শেষে গাড়িটি ক্রয় করেন মহিলা থানার ওসির পরিবার। এদিকে দুষ্কৃতকারী জুয়েল হোসেনকে গ্রেফতারের দাবি উঠেছে। জুয়েল বিরোধী দলের ছত্রছায়ায় লালিত। সে নানান অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। শান্তির শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে বিশালগড়ের বদনাম করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে জুয়েল হোসেন এর মত দুষ্কৃতকারীরা। এদিকে গতকাল কমলাসাগর বিধানসভার ভূঁইয়ার মাথা এলাকায় ১১ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে । ধারালো অস্ত্রের মুখে পিতা পুত্রকে রক্তাক্ত করে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এই ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার বিজয় দেববর্মা।
চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ছিনতাইকৃত গাড়ি উদ্ধার
93