Home » রামচন্দ্রঘাটে বিভিন্ন কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা।

রামচন্দ্রঘাটে বিভিন্ন কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা।

by admin

আজ রামচন্দ্রঘাটে বিভিন্ন কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা। এদিন প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী রামচন্দ্রঘাটের ধুপছড়াতে সুরজিৎ দেববর্মার বাড়িতে সমাজপতিদের নিয়ে বৈঠকে যোগ দেন। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী রামচন্দ্রঘাট অটল কমিউনিটি হলে জনজাতি মোর্চার খোয়াই জেলা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত সম্পর্ক থেকে সমর্থন কার্যক্রমে যোগ দেন। সেখানে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য, মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগে আমরা শুনতাম ত্রিপুরার রাজারা ত্রিপুরার জন্য কিছুই করেনি। আসলে পূর্বতন সরকার এ রাজ্যের রাজা মহারাজাদের সম্মান দিতে শিখেনি। আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন এ রাজ্যের মহারাজাদের অবদানের কথা আমরা জনসমক্ষে তুলে ধরেছি। তাদেরকে বিভিন্নভাবে সম্মান প্রদান করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন সিঙ্গার বিল এয়ারপোর্ট যেটা বহু পোড়ানো, সেই এয়ারপোর্টকে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে রূপান্তরিত করে প্রধানমন্ত্রী তার নামকরণ করেন মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুর। তিনি বলেন আমরা কাজের মাধ্যমে আমাদের পরিচয়দিতে চাই। ডিভাইডেড পলিসির রাজনীতি এর পূর্বে আমরা দেখেছি। আর এই ডিভাইডেড পলিসি রাজ্যের উন্নয়নকে থমকে দিয়েছে। এই পলিসির কারণে আজ আমরা অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছি। ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের জাতি জনজাতিদের নিয়ে এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা এবং এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ার মোদিজির যে স্বপ্ন সেই দিসাতে কাজ করে চলেছে। তিনি বলেন রাজ্যের জনজাতি অংশের মানুষ জানে ২০১৯ সালে এই রাজ্যের সন্তান খান্না ডালং, 2021 সালে গুপ্ত রাম্ রিয়াং, ২০২৩ সালে ভিসি চন্দ্র জমাতিয়া, এবং এসপি দেববর্মাকে মরণোত্তর সম্মানে সম্মানিত করা হয় এবং বিক্রম বাহাদুর জমাতিয়াকে পদ্ম সিং সম্মানে ভূষিত করা হয়। জনজাতিদের উন্নয়নে সদা সচেষ্ট ভাবে কাজ করে চলেছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার। ত্রিপুরার বিজেপি সরকার প্রতি ঘরে সুশাসন কর্মসূচি যে শুরু করেছিল সেটার প্রথম বছর খুবই সফল হয়েছে। প্রতি ঘরে সুশাসন কর্মসূচি ২.০ জনজাতি গৌরব দিবসের দিন প্রারম্ভিত হয়েছে। এই সরকার “অন্তিম ব্যক্তির সরকার,” আমরা সকলকে নিয়ে চলতে চাই। এদিন ১৭ জন ভোটার ত্রিপ্রামথা দল ত্যাগ করে বিজেপি দলে শামিল হয়। নবাগতদের দলীয় পতাকা হাতে তুলে দিয়ে দলে বরণ করে নেন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা সহ অন্যান্যরা।

You may also like

Leave a Comment