Home » বিধায়ক ভগবান দাসের উদ্যোগে ব্যাতিক্রমী শারদ সন্মান-২০২৩

বিধায়ক ভগবান দাসের উদ্যোগে ব্যাতিক্রমী শারদ সন্মান-২০২৩

by admin

প্রতিনিধি কৈলাসহর:-পাবিয়াছড়া বিধানসভার বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাসের ব্যাক্তিগত উদ্যোগে আজ কুমারঘাটের মানসী মিলনায়তন প্রেক্ষাগৃহে শারদ সম্মান ২০২৩- দূর্গা পূজার সেরা সম্মান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাবিয়াছড়া বিধানসভার অন্তর্গত প্রায় ৫০টিরও বেশি ক্লাবকে সংবর্ধিত করা হয়। তার পাশাপাশি কুমারঘাট মহকুমা প্রশাসন,কুমারঘাট বিদ্যুৎ দপ্তর,পূর্ত দপ্তর,অগ্নি নির্বাপক দপ্তর,কুমারঘাট পুর পরিষদ,স্বাস্থ্য দপ্তর,জল সম্পদ দপ্তরের সাথে সাথে বি এম এস পরিচালিত ই-রিকশা শ্রমিক সংঘ এবং কুমারঘাট সিভিল ভলেন্টিয়ার অর্থাৎ আপাত মিত্রদের সম্মানিত করা হয়।শারদ সম্মান অনুষ্ঠানের মত একটি ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান এই প্রথমবার কুমারঘাট এর বুকে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিধায়কের উদ্যোগে।শৃঙ্খলা এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডের নিরিখে প্রতিটি ক্লাবকে বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস সম্মানিত করেছেন।এবারকার শারদ উৎসবে অধিকাংশ ক্লাব বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে একটি নতুন বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন সমাজের কাছে। হাসি ফুটিয়েছেন শত সহস্র গরিব দুস্থ মা-বোনদের মুখে।আজকের এই অনন্য ধারার অনুষ্ঠানে উদ্বোধক বিধায়ক ভগবান দাস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী পবিত্র দেবনাথ,কার্তিক দাস, অনিমেষ সিনহা এবং অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বিকাশেন্দু দে,কুমারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শংকর সাহা,মহকুমা প্রশাসনের পক্ষে ডিসিএম অভিজিৎ কুমার দাস, কুমারঘাট পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারপারসন পবন পাল,ত্রিপুরা বিদ্যুৎ নিগম কুমারঘাট শাখার ম্যানেজার দেবাশীষ সাহা এবং সমাজকর্মী স্বপন তালুকদার প্রমুখ।সম্মিলিতভাবে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন কুমারঘাট কালচারাল সেলের শিল্পীরা।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ তথা বিশিষ্ট সমাজকর্মী বিকাশেন্দু দে। তিনি বলেন কুমারঘাটের প্রতিটি ক্লাব পঞ্চমী থেকে দশমী অব্দি যেভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে কাজ করেছেন সেই নিরিখে প্রতিটি ক্লাব তার প্রশংসার দাবি রাখে।উদ্ধোধনী ভাষন রাখতে গিয়ে বিধায়ক ভগবান দাস বলেন,আজকের এই শারদ সম্মান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাবিয়াছড়া বিধানসভা কেন্দ্রের ছোট-বড় মাঝারি প্রতিটি ক্লাবকে এক জায়গায় একত্রিত করে সৌভ্রাতৃত্ব এবং সম্প্রীতির বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।তিনি বলেন যেখানে সম্প্রীতি বিদ্যমান সেখানে শান্তি স্থাপন হবেই।আর উন্নয়নের প্রথম শর্তই হচ্ছে শান্তি।প্রতিটি ক্লাবের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি ত্রিপুরা সরকারের লাইন ডিপার্টমেন্টের সমস্ত আধিকারিক এবং কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিধায়ক ভগবান দাস।শহর থেকে গ্রাম প্রতিটি ক্লাব এই দুর্গাপূজায় বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি থেকে শুরু করে প্রাচীন রীতি-নীতি মেনে সাত্ত্বিক উপাচারে যেভাবে দুর্গা মায়ের আরাধনা করেছে তার জন্য তিনি প্রশংসিত করেন প্রতিটি ক্লাবকে।প্রবহমান ধারায় চলতে থাকা কুমারঘাটের ঐতিহাসিক দশমী বিগত দিনের সমস্ত রেকর্ড কে ছাপিয়ে গেছে এবারকার দশমী উৎসব বলে দাবি করেন বিধায়ক শ্রী দাস।তিনি বলেন চাকচিক্য ততটা না থাকলেও শহর থেকে গ্রামীণ এলাকায়ও কোন অংশে মাতৃ আরাধনা কমতি ছিল না। মাছমারা বাজারের অন্তর্গত গ্রামীণ এলাকা গুলোতে যেখানে সত্তর শতাংশ মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল সেখানেও মাতৃ আরাধনা শ্রদ্ধা ভক্তি সহযোগে স্বাত্ত্বিকতার মধ্যেই পূজার্চনা হয়েছে। প্রথমবার শুরু হওয়া এই শারদ সম্মান অনুষ্ঠান তা প্রতিবছর অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।আজকের এই শারদ সম্মান-২০২৩ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মোট ৫৪ টি সম্মান তুলে দেওয়া হয়েছে।যা এই প্রথম কুমারঘাটের বুকে এধরনের ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নজির স্থাপন করেছেন বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস। আজকের এই অনুষ্ঠানে মানসী মিলনায়তন প্রেক্ষাগৃহ ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।যা অনুষ্ঠানকে এক অন্য মাত্রা দিয়েছে।

You may also like

Leave a Comment