প্রতিনিধি কৈলাসহর:-করোনাকালীন সময়ে গরীব দুঃস্থদের মধ্যে যেমন সাহায্যের হাত ছিল ঠিক তেমনি শীতকালীন সময়েও শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচীতে এগিয়ে আসে কুমুরঘাট প্রেস ক্লাব।বলা যায় আবরো সমাজ সেবায় এগিয়ে এসে নজির গড়লো কুমারঘাট প্রেস ক্লাব।ফটিকরায় এবং রাজনগর এলাকার দুঃস্থ পরিবারের হাতে মশারী তুলে দিলো প্রেস ক্লাবের কর্মকর্তারা।বছর জুড়েই নানান সামাজিক কাজের ছাপ রেখে চলেছে কুমারঘাট প্রেস ক্লাব।বর্ষার মরসুম ঢুকতেই উপদ্রব বাড়ে মশার।আর এই মশার কামড়ে ডেঙ্গু বা মেলেরিয়ার আক্রমনের শিকার হতে হয় বেশীরভাগ গরীব মানুষকেই।এবারে বর্ষার মরসুম প্রবেশ করতেই মশারী বিতরনের উদ্যোগ নিলো কুমারঘাট প্রেস ক্লাব।রবিবার ফটিকরায় বাজার শেডে মশারী বিতরন কর্মসূচী করে কুমারঘাট প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা।সাংবাদিকদের এই কর্মসূচীতে সহযোগীতার হাত বাড়ায় আসাম রাইফেলসের ২৯ নম্বর বেটেলিয়ানও।উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক সুধাংশু দাস,ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস,কুমারঘাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি তপন বনিক, সম্পাদক আশুতোষ পাল, তরুন সাংবাদিক জনি ভট্টাচার্য,বিশিষ্ট সাংবাদিক অনুপম ভট্টাচার্য,আসাম রাইফেলসের সেকেণ্ড ইন কমাণ্ড পিপি উপাধ্যায়, ফটিকরায় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রাজীব দাস সহ অন্যান্যরা।অনুষ্ঠানে আলোচনা রাখতে গিয়ে সাংবাদিকদের কাজের ভূয়োসী প্রশংসা করেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস।তিনি বলেন দেশ কিংবা রাজ্যের উন্নয়নে সংবাদ মাধ্যম বা সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম।সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সাংবাদিকদের কাজ করার বার্তা দিলেন মন্ত্রী।পাশাপাশি পশুপালন এবং মৎস দপ্তরকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের আর্থিক বিকাশ এবং বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থার কথাও তুলে ধরেন মন্ত্রী।অনুষ্ঠানে সুবিন্যস্ত বক্তব্য রাখেন জেলা সভাধিপতি থেকে অন্যান্য সাংবাদিকরা। এদিনের অনুষ্ঠানে এলাকার প্রায় শতাধিক মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয় মশারি। পাশাপাশি প্রেস ক্লাবের তরফ থেকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় মন্ত্রী সুধাংশু দাস সহ জেলার দুই প্রবীন সাংবাদিক অনুপম ভট্টাচার্য এবং চারুকৃষ্ণ করকেও।
কুমারঘাট প্রেস ক্লাবের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।
কুমারঘাট প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে অভূতপূর্ব সামাজিক কর্মসূচি
108
previous post