Home » বিশালগড়ে হচ্ছে উত্তর পূর্ব ভারতের প্রথম কৃত্রিম অঙ্গ নির্মাণ কেন্দ্র

বিশালগড়ে হচ্ছে উত্তর পূর্ব ভারতের প্রথম কৃত্রিম অঙ্গ নির্মাণ কেন্দ্র

by admin

প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১ মার্চ।। রাজ্যের উন্নয়নের মুকুটে যুক্ত হল নয়া পালক। উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম কৃত্রিম অঙ্গনির্মাণ কেন্দ্র স্থাপন হচ্ছে বিশালগড়ের পূর্ব লক্ষীবিল গ্রামে। প্রায় ৫ একর জমিতে ৪৫ কোটি টাকা ব্যায়ে এই কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে জাতীয় কৃত্রিম অঙ্গনির্মাণ নিগম । ভারতবর্ষে এমন সাতটি অঙ্গ নির্মাণ কারখানা রয়েছে। এবার অষ্টম কারখানাটি হচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরায়। শনিবার সকালে এই কারখানার ভূমি পূজন এবং ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা । উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বি এল ভর্মা, সংসদ বিপ্লব কুমার দেব, ত্রিপুরার সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, বিধায়ক সুশান্ত দেব, জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি এ কে পান্ডে, এলিমকোর সি এম ডি প্রবীণ কুমার, সমাজকল্যাণ দপ্তরের সচিব টি কে দাস, জেলাশাসক সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল, ভারপ্রাপ্ত জেলা পুলিশ সুপার নমিত পাঠক প্রমুখ। প্রথমে মাঙ্গলিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ভূমি পূজন করেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অতিথিরা। এরপর ভিত্তি প্রস্তরের ফলক উন্মোচন করেন। ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের হিরা মডেল দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আজ সত্যিকার অর্থে হীরা মডেলের সেজে উঠেছে উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্য ত্রিপুরা। তিনি বলেন এই ফ্যাক্টরি হলে পূর্ব লক্ষীবিল গ্রামের আমূল পরিবর্তন ঘটবে। এখানকার মানুষের জীবনমান উন্নত হবে। ফ্যাক্টরিতে কাঁচামাল আনা নেওয়া এবং উৎপাদিত সামগ্রী রপ্তানির জন্য এই গ্রামের রাস্তাটি উন্নত মানের করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী আর বলেন সরকার স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করে মানুষের আস্থা অর্জনে অঙ্গীকারবদ্ধ। ২০১৭ সালে মাত্র ৪ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী ছিল। আজ ৫৬ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রায় পাঁচ লক্ষ মহিলা যুক্ত হয়েছে। মহিলাদের স্বাবলম্বনের ক্ষেত্রে তাই ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন শান্তি সম্প্রীতি থাকলে উন্নয়ন সম্ভব। ত্রিপুরায় শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তাই বিভিন্ন কোম্পানি ত্রিপুরায় লগ্নী করতে আসছে। কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বিএল ভার্মা বলেন ২০১৪ সালের ভারত সারা দুনিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকতো। আজ সারা দুনিয়া ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। অর্থনীতিতে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে ভারত। আমাদের লক্ষ্য তৃতীয় স্থান। ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত সমৃদ্ধ ভারত গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সরকার। আমরা দিব্যাঙ্গদের শুধু সহায়তা করতে চাই না। আমরা চাই তাদের স্বনির্ভর করতে। সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব বলেন এই প্রকল্প ত্রিপুরায় প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের অবদান রয়েছে। যদিও পরবর্তী সময়ে কাজটি আটকে যায়। এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরেন সিং এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহার প্রচেষ্টায় এ প্রকল্প বাস্তবায়নের রূপ পেতে চলেছে। তিনি বলেন লক্ষীবিল ফুলের গ্রাম হিসেবে পরিচিত। এই গ্রামে এবার লক্ষ্মী আসবে। সারা দুনিয়া জানবে এই লক্ষীবিলের নাম। ত্রিপুরা সমাজকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর দিব্যাঙ্গদের জন্য চাকুরী ক্ষেত্রে চার শতাংশ সংরক্ষণ চালু করেছে। যার ফলস্বরূপ জে আর বি টি নিয়োগে যার শতাংশ দিব্যাঙ্গ ভাই বোন সুযোগ পেয়েছে। তিনি বলেন ত্রিপুরা একমাত্র রাজ্য যেখানে ষাট শতাংশ দিব্যাঙ্গদের সামাজিক ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। শেষে উপস্থিত দিব্যাঙ্গদের মধ্যে সহায়ক সামগ্রী বিতরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।

You may also like

Leave a Comment