বারো এপ্রিল খোয়াই জেলার অন্তর্গত তেলিয়ামুড়া পুলিশের হাতে ধরা পড়ে হৃত্বিক মাহাতো নামে এক নাবালক যুবক। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় ওর বাড়ি ঝাড়খন্ডের সাহেবগঞ্জ। কেন সেখানে এল, উত্তরে বলল, মা বকাবকি করেছে তাই ট্রেনে উঠে যায় এখানে এসে নেমে যায়। ছোট্ট ১২ বছরের ঋত্বিক কে পুলিশ প্রথমে থানায় রাখে তারপর সিডাব্লিউসি খোয়াই অফিসে যোগাযোগ করে সেই মোতাবেক চাইল্ড লাইনের কর্মীরা পরদিন তাকে তেলিয়ামুড়া থানা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে,
এবং চাইল্ড ওয়েলফেয়ার অফিসে ওর সাথে কথাবার্তা বলে এবং কমিটি অর্ডার করে তাকে আমপুরা হোমে রাখার নির্দেশ দেয়। সিডাব্লিউসি যোগাযোগ শুরু করে সাহেবগঞ্জ চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সাথে সেই সূত্র ধরে জানা যায় ঋত্বিক এর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার মহারাজপুর, থানা তালঝরি। ওর বাবা দিনেশ মাহাতো, মায়ের নাম প্রমিলা মাহাতো, বাবার সংসারের প্রতি কোনো লক্ষ নেই সারাক্ষণ নেশাগ্রস্থ থাকে আজ থেকে দিন ১৫ আগে ঋত্বিকের ছোট্ট একটা ভাই হয়েছে, মূলত পরিবারের গার্জিয়ান ওর দাদু রাজকুমার মাহাতো এবং দিদা কুন্তি দেবী। খোয়াই চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি ওদের পরিবারের সাথে টেলিফোনে কথা বলে ,ওর মা অসুস্থ অবস্থায় ছেলেকে ফেরত দেওয়ার আবেদন জানায়। তখন আইন মেনে তাকে ফেরত দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করাহয এবং সাহেবগঞ্জ চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি এস আই আর রিপোর্ট পাঠায় সেই মোতাবেক আজ ছেলের দাদু দিদা খোয়াই অফিসে আসে এবংপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তারপর আইডেন্টিফিকেশন করার লক্ষ্যে ভিডিও কল করা হয় আমপুরা হোমে এবং আমরা কনফার্ম হই সত্যি এই ওর দিদা এবং দাদু। সাহেবগঞ্জ চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির মেইল অর্ডার ও লেটার অনুয়ায়ী , আইনি প্রক্রিয়া শেষে ছোট্ট ঋত্বিক কে যখন দাদু দিদার হাতে তুলে দেওয়া হয় ওদের আনন্দাশ্রু আর ধরে রাখতে পারেনি তাদের ছোট নাতিকে পেয়ে তারা দুজনেই ব্যাথা খুশি। এদিন ছোট শিশুটিকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন খোয়াই চাইল্ড ওয়েলফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান নান্টু আচার্য সহ অন্যান্যরা।
খোয়াইয় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির প্রচেষ্টায় নিজ ঘরে ফিরল ঋত্বিক
158
previous post