প্রতিনিধি মোহনপুর :- ধানের চারা রোপনের পরিবর্তে অঙ্কুরিত বীজ রোপন করে ধান চাষের পরীক্ষা শুরু করল কৃষি দপ্তর। বৃহস্পতিবার লঙ্কা মোড়ায় এলাকার কৃষকের জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে রোপণ করা হয়েছে অঙ্করিত ধানের বীজ। সাফল্য এলে আগামী দিনে রাজি বৃহৎ পরিসরে এই চাষ প্রক্রিয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা রয়েছে দপ্তরের।
এতদিন যাবত ধানের চারা তৈরি করার পর সেই চারা রোপন করা হতো জমিতে। কিন্তু এখন হয়তো এই প্রক্রিয়া বদলাবার সময় এসেছে। রাজ্যের কৃষি দপ্তরের স্টেট এগ্রিকালচার রিসার্চ স্টেশন, হায়দ্রাবাদ আইসিএআর এবং আইআইআর যৌথভাবে পরীক্ষামূলক এই চাষ প্রক্রিয়ায় অবতীর্ণ হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্টেট এগ্রিকালচার রিসার্চ স্টেশনের জয়েন্ট ডাইরেক্টর ডঃ উত্তম সাহা জানান যে প্রক্রিয়ায় ধানের বীজ রোপন করা হয়েছে তাকে বলা হয় ডিএসআর। এই প্রক্রিয়ায় ধানের বীজ রোপন করলে প্রায় ২০ দিন সময় বেঁচে যাবে কৃষকদের। পাশাপাশি ২০ সেন্টিমিটার বাই ২০ সেন্টিমিটার দূরত্বে এই বীজ রোপন করার পর তার উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ডক্টর উত্তম সাহা। তিনি আরো জানান এই এলাকার কৃষক বিষ্ণুপদ আধিকারির জমিতে দুটি ভাগে অঙ্কুরিত ধানের বীজ রোপন করা হয়েছে। যদি এখান থেকে ভালো উৎপাদন হয় তাহলে আগামী দিনে এই প্রক্রিয়া নিয়ে দপ্তর নতুন কিছু ভাবতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ধানের বীজ রোপন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বামুটায়া কৃষি মহাকুমার এগ্রি সুপার্যান্টের রাজু রবিদাস, সেক্টর অফিসার এবং দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকরা।
দেশ
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-অন্নদাতা কৃষকদের দীর্ঘ সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয়েছেন এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী টিংকু রায়।চাষবাসের সমস্যার কারনে ভালো ফলন হচ্ছেনা বহু বছর ধরে।কাউলিকুড়া হাওরের জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার কৃষকদের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।বর্ষার সময় জল জমে থাকার কারণে ফসল উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটত,যার ফলে কৃষকদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হতো।বহু বছর ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা এই সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছিলেন। অবশেষে, সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই সমস্যার সমাধান হতে যাচ্ছে।
কাউলিকুড়া হাওরের জল নিষ্কাশনের কাজ শিগগিরই শুরু হতে চলেছে,যা নিঃসন্দেহে এলাকার কৃষকদের জন্য এক স্বস্তির খবর।জানা গেছে,ঊনকোটি জেলার জেলা শাসকের ফান্ড থেকে প্রায় ৯৮ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে এই প্রকল্পের জন্য।মন্ত্রীর উদ্যোগে জেলা শাসক দিলীপ কুমার চাকমা এই ফান্ডের অনুমোদন দিয়েছেন, যা প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এই জল নিষ্কাশন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কাউলিকুড়া গ্রামের প্রচুর সংখ্যক কৃষক সরাসরি উপকৃত হবেন। জলাবদ্ধতা দূর হলে কৃষিজমিতে ফসল ফলানো সহজ হবে এবং জমির উর্বরতা বাড়বে।ফলে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পাবে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে।সরকারের এই উদ্যোগ শুধু কাউলিকুড়া গ্রাম নয়,আশে পাশের এলাকাতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।কৃষি উৎপাদন বাড়লে খাদ্য শস্যের যোগান বৃদ্ধি পাবে,যা বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। তাছাড়া, জল নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতির ফলে পরিবেশগত ভারসাম্যও রক্ষা হবে।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২৮ জানুয়ারি।। সিপাহীজলা জেলার টাকারজলা জহর নবোদয় বিদ্যালয়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে গুরুতর অসুস্থ ৮০ জন শিক্ষার্থী। অসুস্থ ছাত্র ছাত্রীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সিপাহীজলা জেলাশাসক এবং জম্পুজলা মহকুমা শাসক। অসুস্থ ছাত্র-ছাত্রীরা টাকারজলা সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন । প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলেই অঘটন ঘটে । ঘটনার খবর পেয়ে সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল বিদ্যালয় এর ভোজনালয় পরিদর্শন করেন। গিয়ে দেখেন খাদ্যদ্রব্য গুলি বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিকভাবে এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মেয়াদ উত্তীর্ণ মসলা ব্যবহার করা হচ্ছে । জেলাশাসক সকল খাদ্য দ্রব্য মশলা ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ভোজনালয়ের ইনচার্জকে শোকজ করারও নির্দেশ দেন। শেষে তিনি টাকারজলা সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে অসুস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজখবর নেন।
কথা বলেন হাসপাতালের চিকিৎসকের সঙ্গে । তিনি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মহকুমা শাসককে নির্দেশ দেন। ঘটনা জানাজানি হতেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অভিভাবকরা। তারা ছুটে যান হাসপাতলে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ছাত্র ছাত্রীরা পেট ব্যাথা, বমি ইত্যাদি সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে সবাই দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠবে বলে জানান চিকিৎসকরা।
প্রতিনিধি মোহনপুর:- হেজামারা ব্লক এলাকায় ওয়াটার সেড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাত। পাশাপাশি এলাকার কৃষক, স্বসহায়ক দল গুলোকে বিশেষ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে এই দিন। ভূগর্ভস্থ জল এবং মাটি সংরক্ষণ করার জন্যই এই ধরনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
জল সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ওয়াটার সেভ ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট নামক এই প্রকল্পের মাধ্যমে জল সংরক্ষণ, ভূমি সংরক্ষণ এবং এলাকার মানুষকে স্বনির্ভর করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। এই ধরনের প্রকল্প হেজামারা ব্লকের পূর্ব নোয়াগাঁও এডিসি ভিলেজ, বড়কাঠাল এডিসি ভিলেজ এবং পশ্চিম চাঁদপুর এডিসি ভিলেজ এলাকায় বাস্তবায়ন করা হবে। মঙ্গলবার এই প্রকল্পের উদ্বোধন করে মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন গোটা ভারতবর্ষে ভূগর্ভস্থ জল কৃষি কাজের জন্য ব্যাপক হারে উত্তোলন করা হচ্ছে। ত্রিপুরা এখনো মোটামুটি ভালো জায়গায় রয়েছে। তবে আগামী দিনে যাতে ভূগর্ভস্থ জলের সংকট না হয় তার জন্যই এখন থেকেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এদিনের এই কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকার ৫০ টি স্বসহায়ক গোষ্ঠীকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার কৃষকদের কৃষি যন্ত্রাংশ এবং নারকেলের চারা প্রদান করা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রমন্ত্রী বৃষ কেতু দেববর্মা টিটিএএডিসির ইএম রোনিয়াল দেববর্মা, ইএম রবীন্দ্র দেববর্মা, হেজামারা বিইসি চেয়ারম্যান সুনীল দেববর্মা, লেফুঙ্গা বিইসি চেয়ারম্যান রণবীর দেববর্মা সহ অন্যান্যরা।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ওপেন জিম। বুধবার উদয়পুর পিএম শ্রী মাতঙ্গিনী হাজরা বিদ্যালয় আয়োজিত স্বাস্থ্য শিবির ও ওপেন জিম উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । এই অনুষ্ঠানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ওপেন জিমের ফিতা কেটে করে উদ্বোধন করেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, উদয়পুর পৌর পরিষদের পৌর পিতা শীতল চন্দ্র মজুমদার, গোমতি জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায়, স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ আরো অনেকে। এই অনুষ্ঠানে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় বলেন , আমাদের সরকার রাজ্যের ক্রীড়া ক্ষেত্রের উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। রাজ্য সরকার ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের বৃত্তি প্রদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ক্রীড়া উন্নয়ন প্রকল্প আর্থিক বরাদ্দ করেছে। ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই উদয়পুর রমেশ স্কুল ময়দানে সিন্থেটিক টার্ফ ফুটবল মাঠ তৈরি করা হচ্ছে। আমাদের সরকার রাজ্যে খেলাধুলার বিকাশের জন্য কাজ করছে। কারণ খেলাধুলার বিকল্প কিছু নেই। খেলাধুলার মাধ্যমে আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেদেরকে বিকশিত করতে পারি। কঠোর পরিশ্রম এবং নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে সমস্ত বাধা বিপত্তি কাটিয়ে আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করতে পারি।
পাশাপাশি আরো বলেন, মাতাবাড়ি বিধানসভার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ গুলি তুলে ধরেন। এদিন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষণীয়।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ২২ জানুয়ারি: পুলিস সপ্তাহ উপলক্ষে গোটা রাজ্যেই পালিত হচ্ছে নানান কর্মসূচি। ধলাই জেলা পুলিসও এর বাইরে নয়। বুধবার পুলিস সপ্তাহ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে জহরনগরস্থিত পুলিশ লাইনে অনুষ্ঠিত হয় এক রক্তদান শিবির। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মিহির লাল দাস সহ আরক্ষা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা। পুলিস সুপার মিহির লাল দাস সাংবাদিকদের জানান ধলাই জেলার প্রত্যেক থানা থেকেই পুলিস জওয়ানরা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। তিনি বলেন রক্তদানের কোন বিকল্প নেই। বিজ্ঞানীরা আজ অব্দি রক্তের কোন বিকল্প আবিষ্কার করতে পারে নি। কারণ রক্ত কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা যায় না। একমাত্র রক্ত দিয়েই রক্তের প্রয়োজনীয়তা দুর করা সম্ভব। তিনি বলেন এদিন ধলাই জেলার পুলিস এবং টি এস আর মিলে মোট ৭১ জন জাওয়ান রক্তদানে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া এদিন ট্রাফিক রুল সম্পর্কে জন সচেতনতা বাড়াতে আমবাসায় ট্রাফিক ইউনিটের সহযোগিতায় ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে ট্রাফিক এর দায়িত্ব পালন করানো হয়। মহকুমা পুলিস আধিকারিক নিরুপম দাস বলেন – এটি নিঃসন্দেহে একটি অভিনব উদ্যোগ। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে হেলমেট পড়ে বাইক চালানো সহ বিভিন্ন ট্রাফিক বিধি মেনে চলার বার্তা দেওয়া হয়।
প্রতিনিধি ধর্মনগর ১৯শে জানুয়ারি : সকালএগারো ঘটিকায় পানিসাগর টাউনহলে অনুষ্ঠিত হয় পানিসাগর মহকুমা প্রসাশনের উদ্যোগে পানিসাগর মহকুমা ভিওিক ৪৭ তম ককবরক দিবস ও উপজাতি লোকনৃত্য প্রতিযোগীতা।প্রদিপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন পানিসাগর নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান অনুরাধা দাস।সভাপতিত্ব করেন রাজ্যের প্রখ্যাত ককবরক কবি ও সাহিত্যিক সুধন্য এিপুরা।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পানিসাগর নগর পঞ্চায়েতের ভাইস চেয়ারম্যান ধনঞ্জয় দেব নাথ,পানিসাগর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান লক্ষিকান্ত দাস,পানিসাগর মহকুমা প্রশাসনের ডেপুটি কালেক্টর তথা মহকুমা উপজাতি ওয়েলফেয়ার অফিসার সুকুমার রিয়াং,পানিসাগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সৌম্য দেব্বর্মা,দামছড় উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেমেন্দ্র দেব্বর্মা,বিশিষ্ঠ সমাজ সেবি এনাই হালাম সহ প্রমুখরা।অনুষ্ঠানে স্বাগত আলোচনা রাখেন ডেপুটি কালেক্টর সুকুমার রিয়াং।অনুষ্ঠানের শুরুতেই রাজ্য উপজাতি বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব বিশ্বা মুন্ডার পতি কৃতিতে পুস্পার্ঘ নিবেদন কর্মসূচি।অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন পানিসাগর এলাকার সবকটি বিদ্যালয় থেকে আগত ছাএ ছাএি বৃন্দরা।অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে একটি সুসজ্জিত রেলী সহযোগে পানিসাগর বাজার পরিক্রমা করে টাউনহল প্রাঙ্গনে এসে সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।অনুষ্ঠান মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন ধরনের উপজাতি লোক নৃত্যের নিপুন প্রদর্শনী।উক্ত উপজাতি লোক নৃত্য প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ কারি দলগুলো হলো বেথলিয়েম ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল,দামছড়া এস,টি গাল্স স্কুল,দামছড়া এস,টি বয়েস হোস্টেল,কেপিটিয়ানো গাল্স স্কুল,কে,জি,বি,ভি গাল্স হেস্টেল এবং নাজির ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল।একদিবসীয় উপজাতি লোক নৃত্য প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে কে,জি,বি,ভি গাল্স হোস্টেল,দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে বেথলিয়েম ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে দামছড়া এস,টি গাল্স হোস্টেল।মঞ্চে উপবিষ্ট অথিতিদের হাত ধরে বিজয়ীদের হাতে পুরুস্কার তোলে দেওয়া হয়।জানা গেছে প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারী বিজয়ী দলটি আগামীকাল ধর্মনগর সরকারি ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত জেলা ভিওিক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের সুযোগ পাবে।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- মাতাবাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত লাভ স্টোরি তৈহোর সং এলাকার নিবাসী নারদ সাধন জমাতিয়ার একমাত্র উপার্জনের পথ ছিল পোল্ট্রির ফ্রার্ম । কিন্তু গত দুইদিন আগে হঠাৎ করে অগ্নিসংযোগ ঘটে । এর ফলে ফ্রার্মটি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। গ্রামবাসীরা শত চেষ্টার পরেও রক্ষা করতে পারেনি ফ্রার্মটিকে। অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় মঙ্গলবার দুপুরে নারদ সাধন জমাতিয়ার বাসভবনে ছুটে যান । কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সাথে। পরবর্তী সময়ে বিধায়ক আর্থিক সহযোগিতা এবং সমবেদনা জ্ঞাপন করেন পাশাপাশি সরকারিভাবে বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান করার জন্য প্রশাসনের সাথে কথা বলবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীকে । শীতের এই শুকনো মরশুমে যেভাবে অগ্নিসংযোগ সংঘটিত হয়েছে তাতে করে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে নারদ সাধন জমাতিয়ার । এমনটাই বললেন পরিদর্শন শেষে বিধায়ক অভিষেক দেবরায়। এদিন বিধায়কে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি।
- প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবছরও মকড় সংক্রান্তির দিনে দুই দুন ব্যাপী পৌষ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্ভোদন হয় সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ চাকমাঘাটস্থিত ব্যারেজ প্রাংগনে। মেলার উদ্ভোদন করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জেলার জেলা সভাধিপতি অপর্না সিংহরায়, সহ সভাধিপতি সত্যেন্দ্র দাস, তেলিয়ামুড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান দীপা দেব , মুংগিয়াকামি এবং তেলিয়ামুড়া ব্লকের বি এ সি চেয়ারম্যান সুনিল দেববর্মা , খোয়াই জেলার জেলা শাসক চান্দনি চন্দ্রন, তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসক পরিমল মজুমদার সহ অন্যান্যরা। মেলার উদ্বোধন করে সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, সনাতন পরম্পরা সামাজিক ব্যবস্থাকে ধরে রাখবে। সনাতন ধর্মের অন্যতম উৎসব হলো মকর সংক্রান্তি উৎসব। মকর সংক্রান্তি উৎসব সারা ভারতবর্ষে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পালন করা হয়। ভারত বর্ষ বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের রূপ দেখা যায়। আসামে বিহু, দক্ষিণ ভারতে পোঙ্গল, হরিয়ানা দিল্লি রাজস্থানে লরি হিসেবে এই দিনটিকে পালন করা হয়। এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,১৯৯৮ সাল থেকে তৎকালীন এম.ডি.সি হরিমোহন দেববর্মার হাত ধরে চাকমা ঘাটের খোয়াই নদীর ব্যারেজ প্রাঙ্গণে মকড় সংক্রান্তির দিনে প্রথম পৌষ মেলা শ্রুরু হয়েছিল। জাতি উপজাতির মৈত্রী’কে আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয় এই মেলা। সেই সময়ে সারা রাজ্যেই সন্ত্রাসবাদীদের আতঙ্কে আতঙ্কিত ছিল সারা রাজ্য। তখন সারা রাজ্যের মধ্যে পৌষমেলা মূলত ডুম্বুরে ঘটা করে অনুষ্ঠিত হতো। সেই সময়ে পরিস্থিতি এবং সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখেই ডুম্বুরে অতিরিক্ত সমাগম রোধ করতেই চাকমা ঘাট বেরেজ প্রাঙ্গনে পৌষমেলার শুরু হয়েছিল। । সেই থেকেই প্রতি বছর বেশ সাড়া জাগিয়ে চলে দুই দিন ব্যপী এই পৌষ মেলা। সারারাত ব্যাপী জনঢল থাকে এই মেলায় প্রতিবছরই। তত্ত্ব সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে সারা রাত্র ব্যাপি চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে মেলায় স্টল খোলা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পূর্ণর্থীরা মধ্য রাত্র থেকে পূর্বপুরুষদের স্মরণে পূজা অর্চনা করে থাকে। অস্থি বিসর্জনের কাজ অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে এখানে করা হয়ে থাকে। সন্ধ্যা রাত থেকেই প্রচুর পূর্ণর্থী এখানে সমাগম ঘটেছে।
- প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১২ জানুয়ারি:- নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ১২ জানুয়ারি জাতীয় যুব দিবস উদযাপন করল গন্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের এন এস এস ইউনিট। রবিবার বিদ্যালয় চত্বর ও তার আশপাশে ‘স্বচ্ছতা হি সেবা’ কর্মসূচি পালন করে এন এস এস স্বেচ্ছাসেবীরা। এদিন বিদ্যালয় ছুটির দিন হলেও তাদের উৎসাহের কমতি ছিলনা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক শুভজিৎ রায়।একই দিনে দিল্লির ভারত মন্ডপমে অনুষ্ঠিত জাতীয় যুব উৎসবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ সরাসরি প্রত্যক্ষ করেন স্বেচ্ছাসেবীরা।শনিবার একই অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে দিল্লি থেকে সরাসরি সম্প্রচার বিদ্যালয়ের স্মার্ট ল্যাবে প্রত্যক্ষ করেন এন এস এস স্বেচ্ছাসেবীরা।কেন্দ্রীয় যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রী মনসুখ মান্ডবীয় এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য শুনেন সবাই। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের ভাইস প্রিন্সিপাল খজেন্দ্র ত্রিপুরা,শিক্ষক সংসদের সম্পাদক লবাজয় রিয়াং ও শিক্ষক শুভজিং রায়।আগামীদিনেও স্বেচ্ছাসেবীদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ এবং সমাজে গঠনমূলক পরিবর্তন আনতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা হবে বলে জানান বিদ্যালয়ের এন এস এস প্রোগ্রাম অফিসার ভাস্কর ঘোষ। উল্লেখ্য গত বছর অসাধারণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ রাজ্যের শ্রেষ্ঠ এন এস এস ইউনিট হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছিল গন্ডাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়।