প্রতিনিধি, উদয়পুর :-
শনিবার দুপুর ১২ টায় ২০২২ সালের বছরের শেষ দিনে উদয়পুর চন্দ্রপুরে রাজ্যের দ্বিতীয় ইন্টিগ্রেটেড আয়ুষ হাসপাতালের ফলক উন্মোচন ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে শুভ সূচনা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা । শুভ সূচনা পর মুখ্যমন্ত্রী ঘুরে দেখেন ইন্টিগ্রেটেড আয়ুষ হাসপাতালের সমস্ত ওয়ার্ডগুলি । কথা বলেন হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সমস্ত ডাক্তারদের সাথে । পরবর্তী সময় হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে এদিন উপস্থিত ছিলেন , বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষ, পরিবহন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, বিশিষ্ট সমাজসেবী অভিষেক দেবরায়, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের ডিরেক্টর শুভাশিস দেববর্মা , গোমতী জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারী নিরুমোহন জমাতিয়া সহ প্রমূখ । এদিন মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন , চন্দ্রপুরে রাজ্যের দ্বিতীয় ইন্টিগ্রেটেড আয়ুষ হাসপাতাল চালু হয়েছে। ২৪ ঘন্টা এই হাসপাতালে পরিষেবা চলবে । এ হাসপাতালের অধীনে মাতারবাড়ি বিধানসভা এলাকার দশটি সাব সেন্টার থাকবে। এরমধ্যে সমস্ত পরিষেবা বিনামূল্যে পাওয়া যাবে । তারমধ্যে মাতারবাড়ি বিধানসভা এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য ৬৬ টি ফ্রী টেস্টিং দেওয়া হবে । এরমধ্যে চারজন ডাক্তার সব সময় থাকবে পরিষেবা দেওয়ার জন্য । এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন , রাজ্য সরকার যত উন্নয়নের কাজ করছে । তখন কিছু কিছু লোক বিরোধী আসনে রয়েছে তারা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে । নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী সিপিআইএম ও কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানান । মুখ্যমন্ত্রী বলেন রাজ্য সরকার যত উন্নয়নের কাজ করছে এর ফলে বিরোধীদের কাছে চক্ষুশূল হচ্ছে রাজ্য সরকার । এই সব এর দিকে রাজ্য সরকার কান না দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে । ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে গড়ে তুলেছে একটি সিনথেটিক ফুটবল মাঠ। সরকার প্রতিদিন চিন্তাভাবনা করে কিভাবে রাজ্যের মানুষকে আরো বেশি করে সুবিধা দেওয়া যায় । বহু আকাঙ্ক্ষিত এই বর্তমান আয়ুষ হাসপাতাল যা আজকের দিনে সার্থক রূপ পেয়েছে এই চন্দ্রপুরে তাতে করে গ্রামীন এলাকার সাধারণ মানুষের অনেকটাই উপকারে আসবে বর্তমান হাসপাতালটি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন রাজ্যে প্রধান হাসপাতাল জিবিতে যেভাবে বিভিন্ন জেলা থেকে রোগী রেফার হয়ে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার জন্য ছোট যেতে হয় তার জন্য ডাক্তারদের উপর অনেকটাই চাপ বেড়ে যাচ্ছে । জিবিতে ডাক্তারদের উপর থেকে রোগীদের চাপ কমানোর জন্য সরকার ভাবতে শুরু করেছে আগামী দিনে সমস্ত জেলার হাসপাতাল গুলিতে যাতে জিবির মতো পরিষেবা দেওয়া যায় তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে । মুখ্যমন্ত্রী বলেন রোগী ও তার আত্মীয়রা ডাক্তারদের ওপর প্রায়শই মারধর করে এই ধরনের খবর যখন পাওয়া যায় তাতে খুবই দুঃখজনক । তাই প্রত্যেক নাগরিককে ভাবতে হবে একজন ডাক্তার একটি রোগীর প্রাণ যখন বাঁচিয়ে তুলছে তখন সে ডাক্তার ছাড়া আপনি কখনোই নিজের প্রাণ ফিরে পেতেন না তাই এই ধরনের ঘটনা থেকে বিরত থাকতে হবে আপনাকে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আয়ুষ হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চন্দ্রপুর এলাকার সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল সাড়া জাগানো।