ধর্মনগর প্রতিনিধি।৩১ আগস্ট :——- সদ্য সমাপ্ত হওয়া রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ধাপে ধাপে প্রত্যেকটি জেলা মহকুমায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত গঠন অর্থাৎ গ্রামীন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান।তারই অঙ্গ হিসেবে ৩১ আগস্ট শনিবার সকাল ১১ ঘটিকায় উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো কদমতলা চন্দ্রকলা টাউন হলে।এদিনকার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সমাজ কল্যাণ, সমাজ শিক্ষা,এবং যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, কাজল দাস,জয়জিৎ শর্মা,জহর চক্রবর্তী,কদমতলা ব্লক আধিকারিক অনিমেষ দেববর্মা,উত্তর ত্রিপুরা জেলা পঞ্চায়েত অফিসার অমর্ত্য বর্মন সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। মূলতঃ কদমতলা ব্লক এলাকায় মোট ১৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে।আর এই ১৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত ১৫ টি পঞ্চায়েত সমিতির আসন।এই ১৫ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৩টি আসনে জয়লাভ করলেও দুটি আসন ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয় সিপিআইএম।এদিনকার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান কর্মসূচির শুরুতে প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মন্ত্রী টিঙ্কু রায়,তারপর একে একে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করা হয় সকল সদস্য এবং অতিথিবৃন্দদের।বিজেপির ১৩ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের মধ্যে মিহির রঞ্জন নাথ চেয়ারম্যান ও বিদ্যাভূষন দাস ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
যদিও এদিন বিরোধী দল সিপিআইএমের দুই সদস্য উপস্থিত হননি এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে।পরে শুরু হয় অনুষ্ঠানের মূল কর্মসূচি,একে একে শপথ গ্রহণ করেন ১৩ জন বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা।তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান জেলা পঞ্চায়েত অফিসার অমর্ত্য বর্মন। এদিনকার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী প্রার্থীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্লক এলাকার সমস্ত পঞ্চায়েতের প্রধান উপ-প্রধান, সহ শত শত বিজেপি কার্যকর্তারা।অপরদিকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী টিংকু রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন গ্রাম পঞ্চায়েত সরকার হচ্ছে জনগণের সরকার,তাই সকল অংশের জনগণের সুবিধা অসুবিধা,এবং সরকারি প্রকল্পগুলি সঠিকভাবে পাইয়ে দিতে জন প্রতিনিধিদের হয়ে প্রধানরা কাজ করে থাকেন।কারণ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা।তাছাড়া বিগত ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও বিশদ আলোচনা রাখেন মন্ত্রী।প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও তার বক্তব্যে তুলে ধরে মন্ত্রী টিঙ্কু রায়।
47