212
- প্রতিনিধি তেলিয়ামুড়া : – চাকমাঘাটে খোয়াই নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল এক ব্যাক্তি। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর জল থেকে উদ্ধার হয়নি নিথর মৃতদেহ’টি। মৃত ব্যাক্তি ৪৫ বছর বয়সী দীপক দাস। ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানাধীন চাকমাঘাট ব্যারেজ সংলগ্ন খোয়াই নদীর নৌকা ঘাট এলাকাতে শনিবার বিকেলে।তেলিয়ামুড়া চাকমাঘাট খোয়াই নদীর ব্যারেজ এলাকায় নবনির্মিত নৌকা ঘাটে প্রতিদিন দূর দুরান্ত থেকে স্নান এবং নৌকা বিলাস করতে আসে বহু পর্যটক। বলে রাখা ভালো, এই নৌকাঘাট’টি তত্ত্বাবধানে রয়েছে তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তর। এখানে প্রতিদিন শতাধীক নৌকা বিলাসের জন্য দূর দূরান্ত থেকে আগত পর্যটকরা ভিড় জমায়। স্থানীয় একাংশ জনগণদের অভিযোগ, এই এলাকায় খোয়াই নদীর জলের গভীরতা বেশি থাকায় অর্থাৎ বাঁধ দিয়ে জল সংগ্রহ করে রাখায় জল অনেকাংশে ফুলে থাকে । স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায় এখনও পর্যন্ত ওই এলাকায় কমপক্ষে ১২-১৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে। তারপরেও ওই এলাকায় নৌকা ঘাটে আনন্দ উপভোগ করতে আসা পর্যটকদের জন্য সুরক্ষার কোন ব্যাবস্থা নেয়নি বনদপ্তর। বিশেষ করে চাকমাঘাট এলাকায় খোয়াই নদীর জলের গভীরতা বেশি থাকায় মৃত্যুর ঘটানো ও ঘটেছে। তার থেকেও শিক্ষা না নিয়ে তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তর নৌকা ঘাট’টি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করাতে কেন্দ্র করে তীব্র সমালোচনা ঝড় উঠেছে। যদিও বনদপ্তর খোয়াই নদী বেরিস প্রাঙ্গনে প্রচন্ড জলরাশিকে ব্যবহার করে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক দিকটি উন্নয়ন এবং পর্যটনকে উৎসাহ দিতেই এখানে নৌকা ঘাট তৈরি করা হয়েছে এবং বেশ কয়টি নৌকা নামানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই নৌকা ঘাটটি পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে। রোজই দূরদূরান্ত থেকে বহু পর্যটক এখানে আসছে। নৌকা ঘাট চালু হওয়ার পর এই প্রথম আজকে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এলাকার মানুষ চাইছে নৌকা ঘাটকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার ব্যবস্থাও যাহাতে কঠোর করা হয়। এদিকে,
শেষ খবর লেখা পর্যন্ত, নিখোঁজ দীপক দাসের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে তেলিয়ামুড়া অগ্নি নির্বাপক দপ্তর থেকে শুরু করে মহকুমা প্রশাসনের দুর্যোগ মোকাবেলা দল। আগামীকালকে এন ডিআরএফ এর টিম খোয়াই নদীতে নামবে তলিয়ে যাওয়া যুবককে উদ্ধার করতে