Home ত্রিপুরা বিশালগড়ে জল কমলেও যন্ত্রণা কমেনি

বিশালগড়ে জল কমলেও যন্ত্রণা কমেনি

by admin
0 comment 45 views

প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২৪ আগস্ট।। বান বিভীষিকায় বিধ্বস্ত গোটা বিশালগড় । সর্বস্বান্ত হয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। এখনো ডুবে আছে অনেক বাড়িঘর। কৃষক মৎস্যজীবীদের বুকফাটা আর্তনাদ। স্থানীয় বিধায়ক সুশান্ত দেব সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চরকির মতো ঘুরছেন গোটা বিধানসভা। ক্ষতিগ্রস্তদের মনোবল বাড়াচ্ছেন। কখনো আশ্রয় শিবিরে আবার কখনো দুর্গত মানুষের বাড়িতে কার্যকর্তাদের মাধ্যমে পৌঁছে দিয়েছেন খাদ্য। শনিবার বাইদ্যারদিঘী, দুর্গানগর, গজারিয়া, মধ্য লক্ষীবিল, নদীলাগ প্রভৃতি কৃষি প্রধান এলাকায় গিয়ে দুর্দশা গ্রস্থ চাষীদের সঙ্গে কথা বলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। সরকারিভাবে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এদিকে বিশালগড়ের কয়েকজন সাংবাদিকের বাড়িতে বন্যার জল ঢুকে পড়েছিল। এর ফলে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে তাদের। ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকের বাড়িতে যান বিধায়ক সুশান্ত দেব। তিনি জানান দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে সাংবাদিক ও মিস্টার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। সঠিক তথ্য তুলে ধরে প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছেন। জমির জল কমার সঙ্গে সঙ্গে ফসলের পচন শুরু হয়েছে। বিশালগড় মহকুমায় মূলত অধিকাংশ কৃষিজীবী। এবারের বন্যায় চরম ক্ষতি হয়েছে চাষীদের। বিশালগড় মহকুমার গোলাঘাটি, চড়িলাম, কমলাসাগর এবং বিশালগড়ে একই চিত্র। বিশালগড়ের পশ্চিমাঞ্চলে এখনো জল কমেনি। বাড়ি ঘরে ফিরে যেতে পারেনি অনেকে। মাছ চাষীদের অধিকাংশ পুকুর জলে ডুবে গিয়েছে। বর্তমানে নদী নালা এবং জল ভর্তি চাষের জমিতে মাছ ধরার হিড়িক লেগেছে। ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মাছ। শনিবার বুড়িমা এবং বিজয় নদীতে কয়েকশো মানুষ মাছ শিকার করেছে। এসব মাছ বন্যায় পুকুর থেকে নদীতে এসেছে। বিশালগড়ে নাগরিকদের জল যন্ত্রণা এখনো কমেনি। যাদের বাড়িতে জল ঢুকেছে জমে গিয়েছে পলিমাটি। জলে ভিজে গিয়েছে শিক্ষার্থীদের বইখাতা। বাজারের ব্যবসায়ীদের মালপত্র জলে ভিজে গিয়েছে। টানা বর্ষণে ভূপাতিত হয়েছে অনেক বসত ঘর। চড়িলামের রামনগর এডিসি বিলেজে দরিদ্র জনজাতি পরিবার সম্পিনি দেববর্মার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নির্মিত বসতঘরটি ধসে পড়েছে। আসন্ন বিশ্বকর্মা পূজা এবং দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে মৃৎশিল্পীরা মূর্তি গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু বানের জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অর্ধ নির্মিত মূর্তি। গোলাঘাটি বিধানসভায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাষিরা। শনিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি চাষের জমি পরিদর্শন করেন জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যা সুমিত্রা দাস। তিনি সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে সোনামুড়া মহকুমার পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। গোমতীর জলে বিধ্বস্ত হয়েছে গোটা মহকুমা। শনিবার তেলকাজলা এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। বেজিমারায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার প্রদেশ সভাপতি বিল্লাল মিয়া। শনিবার মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ধনপুর বিধানসভায়। সেখানকার বিপ্লব ভৌমিকের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্র প্রত্যুষ ভৌমিকের অকাল মৃত্যু ঘটেছে জলে ডুবে।

Related Post

Leave a Comment