Home » ধর্মনগরের অর্ধেন্দু ভট্টাচার্য স্মৃতিভবনে খেলো ধর্মনগর ২০২৩ এর প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন।

ধর্মনগরের অর্ধেন্দু ভট্টাচার্য স্মৃতিভবনে খেলো ধর্মনগর ২০২৩ এর প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন।

by admin

ধর্মনগর প্রতিনিধি।
রাজ্যের মধ্যে প্রথম, খেলো ধর্মনগর ২০২৩ একটা নতুন স্বাদের প্রতিযোগিতা শুরু হতে চলেছে আগামী ১৫ই ডিসেম্বর। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ধর্মনগর এলাকার প্রতিভাবানদের অন্বেষণের কাজ শুরু করেছে। এই প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে বুধবার ধর্মনগরের অর্ধেন্দু ভট্টাচার্য স্মৃতিভবনে এক প্রস্তুতিপর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রস্তুতি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ধর্মনগরের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, পুরো পরিষদের চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ দে সরকার, ধর্মনগর পুরো পরিষদের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এইচ বি কে, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাশীষ সাহা, উত্তর জেলা ক্রিড়া দফতরের উপ-অধিকতা অমিত কুমার যাদব এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী শ্যামল কান্তি নাথ সহ ধর্মনগরের বিশিষ্টজনেরা। ধর্মনগর পুরো পরিষদ এবং ক্রীড়া দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই খেলো ধর্মনগর ২০২৩ হতে চলেছে। আগামী ২৫ এবং ২৬ তারিখ সমস্ত বিভাগের খেলোয়াড়দের নাম নথিভূক্ত করতে বলা হয়েছে। নাম নথিভুক্ত করার জন্য একটা ন্যূনতম এন্ট্রি ফি নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যেমন কেরাম প্রতিযোগিতার জন্য রয়েছে 200 টাকা, ফুটবলের জন্য দুই হাজার টাকা, ক্রিকেটের জন্য দুই হাজার টাকা এবং ব্যাডমিন্টনের জন্য ৫০০ টাকা। ধর্মনগর পুরো পরিষদের আওতাধীন সবগুলি ক্লাব, বিদ্যালয়, গ্রাম পঞ্চায়েত গুলি, কদমতলা কলাছড়া এবং যুবরাজনগর আর ডি ব্লকের অধীন সমস্ত প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। উল্লেখ্য প্রতিযোগীকে অবশ্যই ধর্মনগর মহাকুমার আওতাধীন হতে হবে। শুধুমাত্র প্রতিযোগীদের নয় যারা এই খেলো ধর্মনগর প্রতিযোগিতায় বিচারকের আসনে প্রতিষ্ঠিত থাকবেন তারাও প্রত্যেকে ধর্মনগর মহাকুমার বাসিন্দা হবে। প্রতি খেলোয়াড় কে পুরস্কার স্বরূপ ট্রফি এবং তার পাশাপাশি প্রাইজ মানি দেওয়া হবে। প্রাইজবানের টাকা বিধায়কের উন্নয়ন তহবিল ফান্ড থেকে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। মোট দশটি ইভেন্ট হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার উপর বিধায়ক নতুন করে আরো পাঁচটি ইভেন্ট জুড়ে দিয়েছেন। যে নতুন পাঁচটি ইভেন্ট সংযোজিত হয়েছে তা হল তিন কিলোমিটার দৌড়, ৪০ এর ঊর্থদের ব্রিজ কম্পিটিশন, স্লো সাইক্লিন, টেবিল টেনিস এবং মিউজিকাল চেয়ার। নাম নথিভুক্ত হওয়ার পর দশ ডিসেম্বর কবে কোন খেলা কে কার সাথে খেলবে তার ফিচার প্রকাশিত করা হবে। মূলত আগামী প্রজন্মকে মোবাইলের কবল থেকে, ড্রাগস নামক মারাত্মক ধ্বংস থেকে এবং জুয়ার কবর থেকে মুক্ত করার জন্য ধর্মনগরের বিধায়ক এবং পুরোপুরি সাথে এই নব উদ্যোগ বলে গণ্য করা হয়। কারণ বর্তমান প্রজন্ম যেভাবে মাঠ থেকে তাদের মনোবৃত্তি অন্য কোথাও নিয়ে চলে যাচ্ছে তার থেকে পুনরায় মাঠমুখী করতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন আগামী প্রজন্মকে এবং বর্তমান প্রজন্মকে রক্ষা করা সম্ভব হবে তেমনি প্রতিভাবানদের তুলে আনা সম্ভব হবে বলে মত ব্যক্ত করা হয়। প্রত্যেকটি ইভেন্টের জন্য বি বি আই মাঠের ছোট মাঠ ,বড় মাঠ এবং বাস্কেটবল মাঠ কে প্রতিযোগিতার স্থান হিসেবে নির্ধারিত করা।

You may also like

Leave a Comment