Home ত্রিপুরা জলবন্দী মানুষের পাশে প্রশাসন

জলবন্দী মানুষের পাশে প্রশাসন

by admin
0 comment 50 views

প্রতিনিধি, বিশালগড়, ।। বিশালগড়ে পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হতে যাচ্ছে। বিজয় নদ ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। বানের জলে ডুবে গিয়েছে বিশালগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে বহু পরিবার। বুধবার আশ্রয় শিবিরের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। জলবন্দী মানুষের পাশে ছুটে যাচ্ছে প্রশাসন। বিধায়ক সুশান্ত দেব দলের কার্যকর্তাদের নিয়ে পৌঁছে গিয়েছে দুর্গতদের পাশে। টানা বৃষ্টির কারণে বিশালগড় শহর সহ সংলগ্ন কয়েকটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে যায়। বিজয় নদের জল ঢুকে পড়ে রাউৎখলা, নারাউড়া, চন্দ্রনগর, নদীলাগ, আমবাগান, নেতাজি নগর, কৃষ্ণ কিশোর নগর, দুর্গানগর, গজারিয়া প্রভৃতি এলাকায়। জলবন্দী মানুষের কাছে শুকনো খাবার পৌঁছে দিয়েছে প্রশাসন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুর্গানগর, গজারিয়া এবং রাউৎখলা এলাকা। বুধবার সন্ধ্যার পর জলস্তর বাড়তে থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও প্রশাসন সজাগ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। বিশালগড় বাজার, নিউমার্কেটের দোকানপাটে জল ঢুকে পড়েছে। নষ্ট হয়েছে মালামাল। নদীলাগ, রাউৎখলা প্রভৃতি এলাকার বন্যা কবলিত মানুষ বিশালগড় দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। রাউৎখলা এলাকার নরনারী গরু বাছুর এবং ঘরের গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী নিয়ে বাইপাস সড়কে উঠে এসেছে। নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে । দিনভর বোট নিয়ে উদ্ধার কাজ করেছে এনডিআরএফ এবং টিএসআর জওয়ানরা। প্রশাসনের উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে হাত লাগান বিধায়ক সহ স্থানীয় বিজেপির কার্যকর্তারা। বেশ কয়েকটি এলাকায় জলবন্দী মানুষের হাতে শুকনো খাবার তুলে দিয়েছে বিধায়ক সুশান্ত দেব। বিশালগড় গোলাঘাটি সড়কে চন্দ্রনগর এবং রাউৎখলা এলাকায় জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। বিশালগড় থানা এবং থানার সম্মুখভাগে জাতীয় সড়ক দিনভর জলমগ্ন ছিল। নিউমার্কেট সহ মধ্য বাজারে জলের কারণে দোকানপাট বন্ধ ছিল। গোকুলনগর এলাকায় জাতীয় সড়ক ধ্বসে পড়ে যায়। বাইপাসের রাউৎখলা চৌমুহনী থেকে মোটরস্ট্যান্ড পর্যন্ত জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বুধবার বিকালে বন্যা কবলিত এলাকায় ছুটে যান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। সঙ্গে ছিলেন মন্ডল ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তপন দাস, সহসভাপতি জিতেন্দ্র চন্দ্র সাহা প্রমুখ। বন্যা দুর্গতদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে সকল কার্যকর্তাদের পরামর্শ দেন তিনি। চড়িলামের রাঙাপানিয়া নদীর জল বিপদ সীমা অতিক্রম করেছে। বানের জলে থৈথৈ অবস্থা। জাতীয় সড়ক ডুবে গিয়েছে। বাড়ি ঘরে জল ঢুকেছে। মন্ডল সভাপতি রাজকুমার দেবনাথ, প্রতীক কিশোর দেববর্মার কার্যকর্তাদের নিয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এদিকে গোলাঘাটির বুড়িমা নদী ফুলে ফেঁপে উঠেছে। গোলাঘাটি, সদারামহাটি, সিপাহীজলা, গোপিনগর প্রভৃতি নদীর তীরবর্তী বাড়ি ঘরে জল ঢুকে পড়েছে। জম্পুইজলা মহকুমা প্রশাসনের উদ্ধারকারী দল বুধবার সন্ধ্যায় সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। জেলা পরিষদ সদস্যা সুমিত্রা দাস সহ স্থানীয় কার্যকর্তারা জলবন্দি মানুষের খোঁজখবর নিয়ে তাদের অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বন্যায় বিশালগড় মহকুমায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাষীরা। ডুবে গিয়েছে ফসলের জমি। ভেসে গিয়েছে পুকুরের মাছ। চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে অন্নদাতা চাষিরা। যদিও প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা সহ যাবতীয় সহযোগিতা করতে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে।

Related Post

Leave a Comment