প্রতিনিধি কৈলাসহর:-দীক্ষা ও উৎসব উপলক্ষে এই প্রথমবারের মতো ঊনকোটি জেলাতে পদার্পণ করেন স্বামী গুরুজী মহারাজ।সাথে এসেছিলেন গয়ামণি ব্রহ্মচারী ও প্রধান পূজারী সহদেব জমাতিয়া। পূর্বঘোষিত সফরসূচি অনুযায়ী ১১ টা নাগাদ ঊনকোটি জেলার কৈলাসহর মহকুমার চণ্ডীপুর ব্লকের অন্তর্গত জামতৈল বাড়ি এডিসি ভিলেজের সমরুছড়া গ্ৰামে তিনি দীক্ষাগুরু হিসেবে পদার্পন করেন।শ্রী শ্রী গুরুদেবকে শান্তি কালী দীক্ষা ও উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে ত্রিপুরার চিরাচরিত উত্তরীয় রিসা দিয়ে গুরুজীকে বরণ করা হয়।ভক্তদের উদ্দেশ্যে গুরুদেব শান্তি কালী ও উনার আশ্রম নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন।তারপর উনি ৫০ জন ছাত্রদেরকে স্কুলের ইউনিফর্ম,৫০ জন মহিলাদের শাড়ি ও ৫০ জন বয়স্ক পূরুষদের কম্বল বিতরণ করেছেন মহারাজ জী।জামতৈল বাড়িতে অনুষ্ঠিতব্য সেই দীক্ষা এবং উৎসব অনুষ্ঠানে মোট ২৫৯ জন দীক্ষা গ্রহণ করেছেন।উল্লেখ্য স্বামী গুরুজী মহারাজের সারা ত্রিপুরা রাজ্যে মোট ২৪টি আশ্রম ও স্কুল রয়েছে। স্কুলগুলিতে মোট ৫৫০ জন গরীব পরিবারের ছাত্র ছাত্রীরা পড়াশোনা করছে।তাই আগামী দিনে ঊনকোটি জেলার কৈলাসহর বা কুমারঘাট মহকুমার যে কোনো জনজাতি বসতি অঞ্চলে উনার ২৫ তম আশ্রম ও স্কুল স্থাপন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।তাই কেউ যদি ৫ থেকে ১০কানি জমি দান বা বিক্রি করতে চায় তাহলে তিনি উনার মনোবাসনা পুরন করবেন বলে জানান।দীক্ষা গ্রহণ শেষ হওয়ার পর তিনি অত্যন্ত আনন্দের সাথে বলেন ঊনকোটি জেলাতে এই প্রথম পদার্পন হলেও এর আগে কৈলাসহরে ককবরক বাসী জনজাতি অর্থাৎ দেববর্মা সম্প্রদায় আছে বলে ধারণার বাইরে ছিল।ওনার উপস্থিতিতে খুশী প্রকাশ করেছেন জনজাতি গুষ্টির নাগরিকরা।
108
previous post