ধর্মনগর প্রতিনিধি,২০ আগস্ট :—– লাগাতর ভারীবর্ষণে ব্যাপক ক্ষতি গ্রামীন এলাকায়।দশ কোটি টাকার ওয়াটার প্লেনটেশন অবৈজ্ঞানিক কাজের ফলে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন স্থানীয় জনগণ।ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা ব্লকাধীন সরলা গ্রামে। উল্লেখ্য, উত্তর জেলার কদমতলা ব্লকের অধীন সরলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নং ওয়ার্ডে দীর্ঘ দিনের পানীয় জলের সমস্যার সমাধান করতে ডিডাব্লিউএস দপ্তর দ্বারা দশ কোটি টাকা ব্যায়ে ওয়াটার প্লেনটেশনের কাজ শুরু হয়।আর এই কাজের বরাত পায় ধর্মনগরের “ডি এন কনস্ট্রাকশনের কর্নধার দীপন নাথ”।প্রায় দু’বছর ধরে চলছে এর কাজ।অভিযোগ, জলের ট্যাংক নির্মাণের জন্য টিলার মাটি কেটে গর্ত করা হয়েছে।আর সেই গর্তের মাটি অন্যের নালায় ফেলে বাঁধ দিয়ে রাখা হয়েছে।এ নিয়ে পূর্বেও অনেক ঝামেলা হয়েছিল।এবার দুদিনের লাগাতার বৃষ্টির জলে সেই বাঁধ ভেঙ্গে বৃষ্টির জল সমুদ্রে রূপ নেয়।মূলত কাজের গুণগত মান এতটাই খারাপ ছিল যেটা চোঁখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না।আর যার খেসারত দিতে হলো স্থানীয় মৎস্য চাষী এবং কৃষকদের। অভিযোগ,ওয়াটার প্লেনটেশনের বাঁধ ভেঙ্গে বিঘার পর বিঘা জমি জলের তলায় তলিয়ে যায়।কৃষকদের রোপন করা ধান গাছ জলে ভাসিয়ে নিয়ে প্রায় কম করে পনেরো থেকে কুড়ি লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।সাথে ঐ এলাকার একাধিক পুকুর ডুবে গেছে,যার ফলে গৃহস্থের চাষ করা মাছ জলে ভেসে গিয়েছে।শুধু তাই নয়,এই প্রজেক্ট সাইডে পৌঁছাতে যে রাস্তাটি করা হয়েছে তাতেও স্থানীয়রা অনেক ক্ষয়ক্ষতি শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ।কথা দিয়ে কথা রাখেনি কাজের বরাদ্দকৃত ঠিকেদার।গ্রামবাসীর অভিযোগ মতে,রাস্তার কাজের জন্য দুই কোটি টাকার একটা বিল করেন ঠিকাদার।কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সামান্যটুকু সাহায্য করা হয় নি বলে অভিযোগ।পাশাপাশি গ্রামবাসীরা আরো বলেন,এই ওয়াটার প্লেন্টেশন থেকে সরসপুর, সরলা,ব্রজেন্দ্রনগর ও কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জনগণ পরিশ্রুত পানীয় জলে উপকৃত হবেন বলে তারা সব ধরনের সুবিধা করে দিয়েছিল ঠিকাদারকে।কিন্তু তাদের নিম্ন মানের কাজের ফলে আজ এতটাই ক্ষতির মুখ দেখতে হলো সাধারণ জনগণকে যা কেউ কল্পনাও করতে পারেন নি।তাই এলাকার জনগনের দাবি, কাজের গুনগত মান সঠিক তদন্ত করে পুনরায় কাজ শুরু করা হোক।পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত গৃহস্থ ও কৃষকদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তারা।সাথে বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহার দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভুক্তভোগী জনগন। স্থানীয়দের দাবি,সরকারের বদনাম না করে কাজটি যেন সুন্দর ও সঠিক ভাবে সম্পন্ন হয়।তবে কাজের বরাদ্দ প্রাপ্ত ঠিকেদার দীপন নাথ সহ তার সাগরেদদের অভৈজ্ঞানিক কাজের জন্য তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার ভুক্তভোগী জনগন।এখন দেখার বিষয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
23
next post