
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২০ মার্চ।। দীর্ঘ বাম জামানায় দুর্নীতির খেসারত দিতে হচ্ছে গোলাঘাটির সাধারণ মানুষকে। তারা আতঙ্কিত। মাত্র দশ বছরে জরাজীর্ণ অবস্থা পাকা সেতুর। ভেঙে পড়তে পারে যে কোন সময়ে। গোলাঘাটি বাজার সংলগ্ন বুড়িমা নদীতে একসময় ছিল কাঠের সেতু। গোলাঘাটির বুড়িমা নদীর উপর পাকা সেতু নির্মাণ করা হয় । খরচ হয়েছিল প্রায় চার কোটি টাকা। মেসার্স সিমপ্লেক্স প্রজেক্ট লিমিটেড নামক বহিরাজ্যের একটি সংস্থা সেতুটি নির্মাণ করে। বহিরাজ্যের এ সংস্থার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ ছিল। কিন্তু তৎকালীন প্রভাবশালী বাম নেতাদের আশীর্বাদ থাকায় একের পর এক নির্মাণ কাজের বরাত পেয়েছে এই সংস্থা। ২০১৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তৎকালীন পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী বাদল চৌধুরী শহিদ স্মৃতি নামাঙ্কিত সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন। হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে সেতুর উদ্বোধন করে উন্নয়নের ঢাক পিটিয়েছিলো মন্ত্রী বাদল চৌধুরী। সেতু নির্মাণের ফলে গোলাঘাটি থেকে গাবর্দী, পেকুয়ারজলা, টাকারজলা , শ্যামনগর এলাকার মানুষ উপকৃত হয়েছিল। এমনকি গোলাঘাটি থেকে গাবর্দী হয়ে আগরতলা যাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। প্রথম থেকেই নির্মাণ কাজে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু পূর্ত দপ্তর সদর্থক ভূমিকা পালন করেনি। লক্ষ লক্ষ টাকার নির্মাণ সামগ্রী বিক্রি করা হয়েছে। এই সেতুর নির্মাণ সামগ্রীতে আশপাশের কয়েকটি বাড়িতে ঘর নির্মাণ হয়। একটি রড সিমেন্টের দোকানে বিক্রি হয় নির্মাণ সামগ্রী। নির্মাণ সংস্থায় নিয়োজিত কর্মীরা এই দুর্নীতি কান্ডে যুক্ত। স্থানীয় সিপিএমের মাতব্বরদের মদত ছিল। সরকারি টাকার হরিরলুট পরিলক্ষিত হয়েছিল। ফল যা হবার হয়েছে। বর্তমানে নির্মাণকাজে দুর্নীতির গন্ধ ধীরে ধীরে বেরোচ্ছে। মাত্র কয়েক বছরে
সেতুর মূল পিলারের ঢালাই সরে গিয়েছে। বলা যায় শুধুমাত্র লোহার রডের ধাঁচার ওপর দাঁড়িয়ে আছে সেতু । স্থানীয়দের আশঙ্কা যেকোনো সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তে পারে গোটা সেতু। সেতুর বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। সেতু নির্মাণে যে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছিল তা স্পষ্ট। অতিসত্বর সেতু সংস্কার অথবা নতুন সেতু নির্মাণের দাবি উঠেছে। পূর্ত দপ্তর দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক চাইছে স্থানীয় জনতা। নইলে যে কোন সময় ভেঙে পরবে সেতু। রয়েছে জীবন হানির আশঙ্কা। সেই সঙ্গে দুর্নীতির তদন্তের দাবি উঠেছে।