
ধর্মনগর প্রতিনিধি।
কখনো কখনো তাড়াহুড়া জীবনকে শেষ করে দিতে পারে এরই জলজন্ত উদাহরণ বুধবার ধর্মনগরে আসা সেলস ম্যানেজার ৪৫ বছরের স্পন্দন
বারথকুরের। ঘটনার বিবরণে জানা যায় আজ সন্ধ্যা ছয়টা ত্রিশ মিনিটে নিউ করিমগঞ্জে জনশতাব্দী এক্সপ্রেস টি আগরতলার উদ্দেশ্যে আসার পর একেবারে শেষ সময় সেলস ম্যানেজার স্পন্দন বারথকুর এবং তার সঙ্গী উত্তর গোহাটির একই কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর মানুষ কাটকোলি, দৌড়ে কোনরকমে ট্রেনটিতে ওঠে। ট্রেনটিতে ওঠার পর স্পন্দন বাবু শরীরে অসংগতি অনুভব করতে থাকেন। তিনি আবার হৃদরোগের রোগী। এ ট্রেনটি নিউ করিমগঞ্জের পর পরবর্তী স্টেশন ধর্মনগর। রাস্তায় কোন কিছু চিন্তা না করে ধর্মনগর আসার পর যোগাযোগ করা হলে ধর্মনগরের অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর লোকেরা স্টেশন থেকে স্পন্দন বাবুকে ধর্মনগরের উত্তর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে নিয়ে আসার পর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উনাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। স্পন্দন বাবুর বাড়ি গোহাটির শিলাকুরি তে। তিনি ১৮ মার্চ শিলচর এসেছিলেন ১৯ মার্চ করিমগঞ্জে কাজ শেষ করে বিশ মার্চ আগরতলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু উনার যাত্রার ইতি হয়ে থাকলো ধর্মনগর রেল স্টেশন। চিকিৎসকরা ধারণা করছেন যেহেতু তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন হঠাৎ করে দৌড়ে তাড়াহুড়া করে রেলে উঠতে গিয়ে ওনার হৃদকম্পন অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় এই মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।