২০ মার্চ থেকে ২৮ শে মার্চ পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে পালিত হবে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব-সুস্থ কৈশোর অভিযান ৪.০৷ ১৮ মার্চ দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার দক্ষিণী টাউন হলে এর শুভ সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা৷ শিশু ও কিশোর কিশোরীদের জনস্বাস্থ্য কর্মসূচির সঠিক বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ত্রিপুরা সরকার ২০২১ সালের সেপ্ঢেম্বর মাসে এই অভিযানের সূচনা করেছে৷ কৃমি সংক্রমণ, ভিটামিন -এ -র অভাবে, শৈশবে ডায়রিয়া এবং আয়রন ও ফলিক এসিডের অভাব মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য একটি উদ্বেগজনক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসবের ঘাটতি শিশুর পুষ্টি গ্রহণের বাধা সৃষ্টি করে এবং শিশু বা কিশোর কিশোরীরা অপুষ্টি ও রক্ত স্বল্পতায় ভুগে৷ এর পাশাপাশি তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশও ব্যাহত হয়৷ শিশু ও কিশোর কিশোরীদের সুস্থ রাখতে, তাদের পুষ্টির বিকাশ, শারীরিক ও জ্ঞানগত ক্ষমতার বিকাশের জন্য মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব-সুস্থ কিশোর অভিযান ৪.০ সূচনা ৷ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর, বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর, উচ্চশিক্ষা দপ্তর এবং সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থকৈশোর অভিযান ৪.০ বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান বাইজালবাড়ি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে আয়োজীত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দরা । এই দিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জেলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা, খোয়াই জেলার জেলাশাসক ডিকে চাকমা, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নির্মল সরকার সহ অন্যান্য অতিথিরা। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলাশাসক বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব-সুস্থ কৈশোর অভিযান-৪’ এ কর্মসূচির মাধ্যমে শিশু ও কিশোর বয়সের ছেলে-মেয়েদের বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক ওষুধ দেওয়া হবে৷ শিশু ও কিশোর বয়সের ছেলে-মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে এবং যত্নবান হতে হবে৷ স্বাস্থ্য ঠিক থাকলে ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে৷ এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা সভাধিপতি বলেন, অভিযানের মাধ্যমে আজ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সরকারি, বেসরকারি, আধা সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যকর্মীরা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ওষুধ খাওয়াবেন৷ এদিন অনুষ্ঠানের অন্তিম পর্যায়ে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানো হয়।
মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থকৈশোর অভিযান ৪.০ বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান বাইজালবাড়ি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে
by admin
written by admin
88