61
- ধর্মনগর প্রতিনিধি। সোমবার সন্ধ্যা থেকে উত্তর জেলা সদর ধর্মনগরে চলছে অঝরে বৃষ্টি। বিভিন্ন এলাকাগুলি জলমগ্ন হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ভারত বাংলা সীমান্তের বিঘার পর বিঘা জমিয়ে প্লাবিত হওয়ায় জলের নিচে চলে গেছে। এলাকার কৃষকদের মাথায় হাত পড়ে গেছে। এদিকে শিববাড়ি ছড়ার পার এলাকা অতিরিক্ত প্লাবিত হওয়ায় দশটি পরিবারের শরণার্থী শিবিরে এসে উঠেছে। এলাকার ক্লাবের ছেলেরা বারে বারে মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটের এর সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। অবশেষে ফায়ার সার্ভিসকে কবর দিলে ফায়ার সার্ভিসে টিম নিরাপত্তার জন্য মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট অফিসে যে নৌকাটি রয়েছে তা নিয়ে এসে উদ্ধারকার্য চলছে। ধর্মনগর কৈলাশহর মূল সড়ক দেশ জায়গা জলের নিচে ডুবে আছে। একই অবস্থা সিগন্যাল বস্তির মানুষের। সাধারণ মানুষ বিশেষ করে ক্লাবের ছেলেরা বিভিন্ন জায়গায় সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে শরণার্থী দের উদ্ধার করতে। নয়াপাড়া, রাজবাড়ীর মন্ডপ পাড়া, জেল রোড, যেদিকে দেখা যায় সেদিকেই জলমগ্ন। নিরাপত্তার জন্য মানুষ নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের ঘর বাড়ি যেগুলি কিছুটা উঁচু জায়গায় রয়েছে তাতে আশ্রয় নিচ্ছে। শহর বৃষ্টিতে শুনশান অবস্থা ধারণ করেছে। মানুষ প্রায় নেই বললেই চলে। যে যার নিজের ঘরে আশ্রয় নিয়ে দিন কাটাচ্ছে। মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে যোগাযোগ করার অনেক চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। জুরি নদী এবং কাকরি নদী ফুলে ফেঁপে উঠেছে। কোথায় কোথায় জল বিপদসীমার ঊর্ধ্ব দিয়ে বইছে। আগামী তিন ঘন্টা যে রূপ বৃষ্টি হচ্ছিল বৃষ্টি হলে দীর্ঘদিন পর উত্তর জেলা বাসিরা আবার বন্যার রোগ দেখতে পারবে এবং বিভিন্ন শরণার্থী শিবির গুলি প্রস্তুত হয়ে উঠেছে। মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুগুলি চিৎকার করছে নিরাপত্তার জন্য। কৃষকরা হচ্ছে তাদের জমির অবস্থা নিয়ে। সরকারি সাহায্য পাওয়া যাবে নাকি তা নিয়ে বহু কৃষক চিন্তিত।