কল্যাণপুর প্রতিনিধি:
বর্তমান প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে টিকে থাকার প্রশ্নে নানা জন নানা পেশাকে হাতিয়ার করে থাকেন। আবার এমনও কিছু কিছু ব্যক্তিত্বরা রয়েছেন যারা সমাজের মধ্যে অন্তত জীবন জীবিকার পথ নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকেন অবশিষ্ট সমাজের চোখে। এরকমই একজন হচ্ছেন কল্যাণপুর থানাধীন বাজার কলোনি এলাকার উদ্যমী যুবক শঙ্কর শীল। একেবারে দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা শংকর শীল একসময় রাজধানী আগরতলা থেকে ফুল কিনে এনে বিক্রি করার মধ্য দিয়ে সংসার প্রতিপালন করতেন। তারপর নিজে এই ফুল চাষকে অবলম্বন করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে অন্যের জমিতে ফুল চাষ করা শুরু করেন আজ থেকে প্রায় ছয় বছর আগে। এরপর নিজের অদম্য ইচ্ছা আর অক্লান্ত পরিশ্রমকে পুঁজি করে এই দীর্ঘ প্রায় ছয় বছর ধরে ফুল এবং রকমারি সবজি চাষ করে গোটা এলাকার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন শংকর। বর্তমানে শঙ্করের জমিতে রয়েছে রকমারি ফুল সহ বিভিন্ন প্রকারের মরসুমী সবজির বাহার। প্রায় বিকেলে নান্দনিক সৌন্দর্য পিপাসুরা ভিড় জমান শঙ্করের নিজ হাতে তৈরি করা বাগান এর মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার জন্য। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের সাথে কথা বলার সময় শংকর দাবি করেছেন বর্তমানে নিজে তৃপ্ত, বিভিন্নভাবে গোটা কল্যাণপুর সহ খোয়াই জেলায় যখনই ফুলের প্রয়োজন পড়ে তখনই সবার আগে শঙ্করের নামটা ভেসে আসে। তার এই সফলতার পেছনে বা দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলার পেছনে শংকর কৃতজ্ঞতা বর্ষণ করছে ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে কৃষি দপ্তর এবং চেবরির দিব্যদয় কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রতি। তারপরেও সে সরকারের কাছে দাবি করছে আগামী দিনে সে এই ফুল চাষকে ভিত্তি করে আরো এগিয়ে যেতে চায়। এই ফুল চাষের মধ্য দিয়ে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি আরো কটা পরিবার সাবলম্বী হয়ে উঠুক সেই স্বপ্ন আজ দেখতে শুরু করেছে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করা এই সময়ের মধ্যে সফল ফুল চাষী শংকর। আমরা সবাই জানি সরকার যারা উদ্যমি, যারা নিজেরা সঠিক দিশায় চলার পাশাপাশি অন্যদেরকে সঠিক দিশায় চালিত করতে সিদ্ধহস্ত তাদের পাশে দাঁড়ানোর অভিপ্রায় রেখে চলেছে সেই ২০১৮ সাল থেকে, এই যাত্রায় শঙ্করের মত উদ্যোগী ফুলচাষীকে আরো আরো বেশি করে স্বাবলম্বিত করে তুলতে প্রশাসন সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করুক এটাই চাইছেন সবাই।
ফুলচাষীকে আরো আরো বেশি করে স্বাবলম্বিত করে তুলতে প্রশাসন সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করুক এটাই চাইছেন সবাই।
94
previous post