প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৯ ফেব্রুয়ারি ।। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক সংঘর্ষে লন্ডভন্ড হয়েছিল চড়িলামের লালসিংমুড়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও জনমনে ভীতি রয়েছে। লালসিংমুড়ায় স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বিশালগড় মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে লালসিংমুড়ায় সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং স্থানীয় জনতাকে নিয়ে শান্তি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । রবিবার লালসিংমুড়া পঞ্চায়েত অফিস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশালগড় মহকুমা শাসক বিনয় ভূষণ দাস, বিশালগড় মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাহুল দাস, চড়িলাম ব্লকের বিডিও রুপন দাস। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ ব্যবসায়ী নিতাই দাস। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির মধ্যে ছিলেন শাসক দলে বিজেপির বাসু রঞ্জনশীল, সুমন দেবনাথ।কংগ্রেসের গোপীনাথ সাহা। সিপিআইএমের প্রনয় সিংহ। তিপরা মথা দলের বিশ্বজিৎ দেববর্মা, লালসিংমুড়া বাজার কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক মধুসূদন দেবনাথ প্রমুখ। মহকুমা শাসক বিনয় ভূষণ দাস বলেন জাতি জনজাতির ঐক্য সুদৃঢ় করতে শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের পাশাপাশি সকল রাজনৈতিক দলের প্রয়াস অতি গুরুত্বপূর্ণ। লালসিংমুড়া বাজারটি ওই অঞ্চলের গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই আবার যাতে সবাই মিলেমিশে বাজারে বেচাকেনা করতে পারে সেই পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। এছাড়া পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে বলে তিনি জানান। আগামী ২ মার্চ ভোটের ফল ঘোষণার পর কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। শান্তি বৈঠক শেষে বিশালগড় মহকুমা শাসক সহ প্রতিনিধি দল লালসিংমুড়া বাজারে যে সমস্ত দোকানপাট গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল সেইগুলি পরিদর্শন করেন। বাজার কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক মধুসূদন দেবনাথ ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। এবিষয়ে লিখিত আবেদন জানানোর পরামর্শ দেন মহকুমা শাসক। সকালে শান্তি বৈঠকের পর বিকালেই জমজমাট হয়ে উঠে লালসিংমুড়া গ্রামীণ হাট। পসরা সাজিয়ে বসেন ক্রেতারা। কৃষকেরা সবজি, মৎস্য চাষীরা মাছ সহ রকমারি খাবারের দোকান, কাপড় মুদির দোকান কোন কিছুই বাদ ছিল না। বিশালগড় মহকুমা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা সাপ্তাহিক হাটে সবজি ক্রয় করেন । সবাইকে নির্ভয়ে বাজারে বেচাকেনা করতে বলেন মহকুমা শাসক । লালসিংমুড়ায় অস্থায়ী আরক্ষা বাহিনীর ক্যাম্প আরো কয়েকদিন থাকবে বলে জানান তিনি। অপরদিকে বিশালগড় বিধানসভার নেহালচন্দ্রনগরে পৃথক শান্তি বৈঠক করেন মহকুমা প্রশাসন।
97