প্রতিনিধি কৈলাসহর:-বুধবার ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে ২৮ তম রাজ্য ভিত্তিক যুব উৎসব ও বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন করেন রাজ্য সরকারের সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়।এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা,রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান মবস্বর আলী,ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দপ্তরের অধিকর্তা সত্যব্রত নাথ,ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দপ্তরের সচিব ডঃ প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী,পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়,জেলা শাসক দিলীপ কুমার চাকমা এবং চন্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির চ্যায়ারম্যান সম্পা দাস পাল প্রমুখ।প্রদীপ প্রজ্জলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী টিংকু রায় সহ অন্যান্যরা।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দপ্তরের সচিব পি কে চক্রবর্তী।স্থানীয় বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন প্রতিযোগিতা মূলক ও যুবদের বার্ষিক সমাবেশ হচ্ছে যুব উৎসব।বর্তমানে দেশের বিকাশে যুবদের ভূমিকা অপরিসীম।তিনি রাজ্য ভিত্তিক যুব উৎসব কৈলাসহরে করার জন্য মন্ত্রী টিংকু রায়কে ধন্যবাদ জানান। রাজ্য ভিত্তিক যুব উৎসবের উদ্বোধক মন্ত্রী টিংকু রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে শ্রীরামপুর স্থিত সূর্যমনি মেমোরিয়াল হাইয়ার সেকেন্ডারি বিদ্যালয়ে।রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মডেল গুলো আমরা দেখব।এই হলে উপস্থিত প্রত্যেকেই আমরা সেখানে যাব।যেখানে ১৩০টির ও বেশি বিজ্ঞান মডেল থাকবে এই মেলায়। পূর্বে আগরতলা থেকে কৈলাসহর আসতে ছয় ঘন্টা সময় লাগতো।আজ আমরা আড়াই থেকে তিন ঘন্টায় চলে আসতে পারি।এখানে অনেক যুবকরা রয়েছেন এক সময় জাতীয় যুব উৎসবে শামিল হয়েছেন।সেই সমস্ত যুব উৎসবে অংশগ্রহণ করার জন্য আগরতলা থেকে বাসে চেপে গৌহাটি গিয়ে সেখানে এক রাত্র থেকে পরের দিন ট্রেনে করে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়েছে। আজ আগরতলা শহর থেকে ১৫ থেকে ১৬ টি ট্রেন ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে যায়।যার জন্য গৌহাটি থেকে যেতে হয় না।আমাদেরকে আত্মনির্ভর মানসিকতায় এগিয়ে যেতে হবে।সেই মানসিকতায় নিজেদের ছোট থেকে বড় করতে হবে। আমরা যেন নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারি।অন্যকেও যেন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে পারি সেভাবে যেন আমরা তৈরি হই।আমাদের রাজ্য ছোট হতে পারে কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে আমরা উত্তর পূর্বাঞ্চল নয় ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্য থেকে অনেক এগিয়ে।আমাদের ছোট্ট রাজ্যে যদি দেখি এখানে ভারতবর্ষের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাবার উৎপাদন হয়। আমাদের রাজ্যে যে বাঁশ রয়েছে সেই বাঁশ শিল্পের উপর ভিত্তি করেও অনেকের রোজগারের ব্যবস্থা হতে পারে।আত্মনির্ভর মানসিকতায় আমাদের তৈরি করতে হবে।আমরা মৃন্ময়ী মায়ের প্রতিযোগিতা করছি। নিজের মার জন্য একটি ঘর তৈরি করতে পারি না।যার জন্য সরকারকে বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করতে হচ্ছে।এটা সামাজিক ব্যাধি।আজ হলে যারা আমরা বসে আছি আমাদের সংকল্প নিতে হবে যাতে আমরা আমাদের অভিভাবকদের নিজের ঘরে রেখে সেবা করতে পারি। রাজ্যভিত্তিক প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানের পর রাজ্যের আটটি জেলা থেকে আসা শিল্পীরা প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। মূলত লোকনৃত্য,লোকগীতি পেন্টিং,কবিতা ও গল্প লিখন সহ ১২ টি বিষয়ের উপর রাজ্যভিত্তিক ও বিজ্ঞান মেলায় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
32