
স্পন্দন সামাজিক সংস্থার উদ্যোগে আজ ৮ই এপ্রিল আগরতলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত হল এক বিশাল রক্তদান শিবির।
রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্পন্দনের প্রধান অতিথি প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা।
রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের মেয়র শ্রী দীপক মজুমদার মহাশয়। উনি স্পন্দনের সম্মানিত অতিথি ছিলেন। তাছাড়া বিশেষ অতিথি রূপে উপস্থিত ছিলেন শ্রী দেবাশীষ চক্রবর্তীর চেয়ারম্যান ভারতীয় বিদ্যাভবন,উনি স্পন্দনের অ্যাডভাইজারী বোর্ডের মেম্বার। রক্তদান শিবিরে শহরের গণ্যমান্য অনেক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।
প্রদীপ প্রজ্বলন এর মাধ্যমে রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী। ৫৪ জন রক্ত দান করেন এর মধ্যে ১২ জন মহিলা দাতা।
মুখ্যমন্ত্রী ওনার ভাষনে বলেন রক্তদানের মত মহৎ দান আর কোন দান নেই তাই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে প্রাণ রক্ষার ক্ষেত্রে।
তাছাড়া উনি বিশেষ ভাবে স্পন্দনকে অনুপ্রাণিত করেন নেশা মুক্তি অভিযানে শামিল হওয়ার জন্য। নেশা মুক্তির অভিযানে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতিতে উনি বিশ্বাস করেন তাই উনি আহবান রাখছেন সবাইকে এগিয়ে এসে আমাদের রাজ্যকে নেশার কবল থেকে মুক্ত করতে হবে।
ওনার বক্তব্যের পর স্পন্দনের সমস্ত মেম্বাররা উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন এবং স্পন্দনের সম্পাদিকা ডঃ হৈমন্তী ভট্টাচার্য মঞ্চ থেকেই স্পন্দনের সমস্ত মেম্বারদের নিয়ে প্রতিজ্ঞা করেন রাজ্যের যুবকদের মোটিভেশন এর কাজে ওরা ঝাপিয়ে পড়বে এবং রাজ্যের যুবকদের একটি নতুন জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিটি সদস্য আপ্রাণ চেষ্টা করবে। শ্রীমতি ভট্টাচার্যের ভাষনের সময় স্পন্দনের সমস্ত মেম্বাররা দাঁড়িয়ে পড়েন এবং ওনার সুরে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।
স্পন্দনের সম্পাদিকা ডক্টর হৈমন্তী ভট্টাচার্যী বলেন স্পন্দন , এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন এর উদ্দেশ্যে বিশাল কর্মসূচি নিতে চলছে যার মাধ্যমে বেকার যুবক-যুবতীরা ফিরে পাবে ওদের নবজীবন।
তাছাড়া উনি আরো বলেন আমাদের স্মার্ট সিটি আগরতলা সিটিকে প্লাস্টিক মুক্ত করার লক্ষ্যে স্পন্দন কাজ করবে।
হার করম আপনা কারেঙ্গে এ বতন তেরে লিয়ে, দিল দিয়া হে জান ভি দেঙ্গে এ বতন তেরে লিয়ে”
সমস্ত মেম্বাররা এই গানটি একসাথে সমবেতভাবে গেয়ে রক্তদান শিবিরের সমাপ্তি করেন।