Home রাজনীতি বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপি রামচন্দ্র ঘাট মন্ডলের যুব মোর্চার সহ-সভাপতি রূপক ঘোষ।

বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপি রামচন্দ্র ঘাট মন্ডলের যুব মোর্চার সহ-সভাপতি রূপক ঘোষ।

by admin
0 comment 75 views

বুথ জ্যাম করার অপচেষ্টা, ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং শাসকদলীয় কার্যকর্তাদের প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন রামচন্দ্র ঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মার বিরুদ্ধে খোয়াই আর ডি ব্লকের রিটার্নিং অফিসার অভিজিৎ দাস এর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপি রামচন্দ্র ঘাট মন্ডলের যুব মোর্চার সহ-সভাপতি রূপক ঘোষ। অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন পঞ্চায়েতের ভোট গ্রহণ চলাকালীন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ হঠাৎই তিনি ৭টি গাড়িতে করে বহিরাগত যুবকদের নিয়ে শেওড়াতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের কামিনী পাড়া ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন। সেখানে তিনি এবং উনার দলের কর্মী সমর্থকরা সাধারণ ভোটারদের হুমকি দিতে শুরু করে। বিষয়টি প্রত্যক্ষ করে প্রতিবাদে এগিয়ে আসে বিজেপির কার্যকর্তারা। তখন বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা বিজেপির কার্যকর্তাদের সাথে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগ। যদিও বিজেপি কার্যকর্তাদের প্রতিরোধে শেষমেশ বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা ভোটকেন্দ্র ছাড়তে বাধ্য হন। এদিকে রামচন্দ্র ঘাট মণ্ডল সভাপতি সঞ্জীব দেববর্মা জানান রামচন্দ্র ঘাট বিধানসভায় খোয়াই ব্লকের অধীন রয়েছে পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত। দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে কল্যাণপুর ব্লকের অধীন। সর্বত্র শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হলেও কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে বুথ জ্যাম এবং গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছেন স্থানীয় বিধায়ক। তবে তিনি আশাবাদী প্রতিটি পঞ্চায়েতে ভারতীয় জনতা পার্টির জয় হবে। এদিকে শাসকদলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনেছে সিপিআইএম। তারা জেলা শাসক চাঁদনী চন্দনের সাথে দেখা করে একটি অভিযোগ পত্র তুলে দেন।সিপিআইএমের অভিযোগ খোয়াই বিধানসভার অন্তর্গত বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএম সমর্থকদের ভোট দানে বাধা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ তোলা হয়েছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। তবে এই অভিযোগ খন্ডন করে বিজেপি খোয়াই জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দাস বলেন সিপিআইএমের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। খোয়াইতে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিস্থিতিতে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। সবগুলি ভোটকেন্দ্রে সকল দলের পোলিং এজেন্টরা রয়েছে। বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকরা উৎসবের মেজাজে ভোট দান করছেন। কোথাও কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি। প্রকৃত অর্থে সিপিআইএম পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পাইনি। তাই মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে তারা। রাজ্যবাসী তাদের রূপ জেনে গেছে। তারা এখন জন বিচ্ছিন্ন। তাই মিথ্যা কথা বলে বিজেপি দলের বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে বলে অভিমত জানান তিনি।

Related Post

Leave a Comment