34
- প্রতিনিধি , উদয়পুর :- প্রথমে কোটা সংস্কার, পরে শেখ হাসিনার পদত্যাগ— এই দুই প্রধান দাবিতে গত দু’মাস ধরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে বাংলাদেশ। রক্ত ঝরেছে প্রচুর। প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জনরোষের মুখে পড়ে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট কোটা সংস্কারের পক্ষে রায় দিয়েছে। পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন হাসিনা। তবে বাংলাদেশ এখনও অশান্ত। কিন্তু গত দু’মাসে কী ভাবে অশান্ত হয়ে উঠল সোনার বাংলা? কোন পথে চলল আন্দোলন? স্বাধীনতার আগে এবং পরে— অনেক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সাক্ষী থেকেছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দাবিতে উত্তাল হয়েছে ভারতের প্রতিবেশী। বাংলাদেশের গণভবনে লুঠপাট চালানো হয় । আন্দোলনকারীরা ভাঙচুর করে বাংলাদেশের জাতির জনক কে । একই সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি ভেঙ্গে ফেলা হয় । সব মিলিয়ে এক অশান্তির পরিবেশ বাংলাদেশে । এই নিয়ে বাংলাদেশের এই ধরনের উগ্রতাকে নিন্দা জানিয়েছেন ত্রিপুরার উদয়পুরে বসবাসকারী মুক্তিযুদ্ধা মৈত্রী সম্মেলনে প্রাপক স্বপন কুমার ভট্টাচার্য। তিনি বলেন , যেভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে উগ্র মৌলবাদীরা । তা কখনোই কাম্য নয় । তিনি আবেদন রাখেন ভারত সরকার যাতে হিন্দুদের রক্ষা করে এবং যেভাবে অত্যাচার চালানো হয়েছে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিদ্যালয় গুলিতে তাতে করে শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য সর্ব দিক থেকে পিছিয়ে পরবে বাংলাদেশ । একটা সময় এই বাংলাদেশের জন্য ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা হয়েছিল । কিন্তু আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এই ধরনের ঘটনা নিন্দা জানানোর ছাড়া আর কোন ধরনের ভাষা নেই । এদিন মুক্তিযুদ্ধা মৈত্রী সম্মেলন প্রাপক স্বপন কুমার ভট্টাচার্য আবেদন রাখেন বাংলাদেশের জনগণের প্রতি বাংলাদেশে যাতে শান্তি ফিরে আসে তার জন্য সকলে সংযত থাকা উচিত বলে তিনি মনে করেন ।