সংসদের বাজেট অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ার মুখে নয়াদিল্লিতে এলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাতে তিনি পৌঁছেছেন শহরে। এখনও পর্যন্ত স্থির আছে, তাঁর বর্তমান সফর তিন দিনের। আগামী কাল মহাবীর জয়ন্তী উপলক্ষে সংসদে ছুটি। কিন্তু দিল্লিতেই থাকবেন অভিষেক। পরশু, অর্থাৎ বুধবার, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের কাছে একটি সংসদীয় প্রতিনিধি দল নিয়ে যাবেন। আজ সে জন্য সময় চাওয়া হয়েছে মন্ত্রীর কার্যালয়ে। সেখানে গিরিরাজকে একশো দিনের কাজ সংক্রান্ত কেন্দ্রের বকেয়া অর্থের দাবি সম্বলিত একটি চিঠি তাঁরা তুলে দেবেন দলের পক্ষ থেকে। তার পরে গোটা দিন রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার দাবিতে ধর্না আন্দোলন করবেন। কোথায় এই ধর্না অবস্থানে বসা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। একাংশের মতে, কৃষিভবনে চিঠি দেওয়ার পরে বাকি তৃণমূল সাংসদদের নিয়ে সেখানেই ধর্নায় বসা হতে পারে। অথবা অবস্থান হতে পারে সংসদ চত্বরেও।
আজ সকাল এগারোটা নাগাদ সংসদে আসেন অভিষেক। এই অধিবেশনে তাঁর প্রথমবার আসা। যদিও তিনি পৌঁছনোর আগেই আজ লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। দলের সাধারণ সম্পাদক তৃণমূলের দফতরে গিয়ে উপস্থিত সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন। উপস্থিত ছিলেন লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। সেখানে অভিষেকের নির্দেশ, ধর্নার দিন অর্থাৎ বুধবার, তৃণমূলকে মাঠে নামতে হবে সর্বশক্তি দিয়ে। কারও অনুপস্থিত থাকা চলবে না। এই মর্মে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে তৃণমূলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার সব সাংসদকে।
আজ এবং কাল দু’দিনই অভিষেক দিল্লিতে ‘রাজনৈতিক বৈঠক’ করবেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র। কিন্তু সেই বৈঠকে কোন দলের নেতারা থাকছেন, তা স্পষ্ট করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টে ইডি-র করা তাঁর বিরুদ্ধে যে মামলা ঝুলে রয়েছে, চলতি মাসে তার শুনানি হতে পারে। অভিষেক সেই বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছেন কি না তা নিয়ে দিল্লিতে আজ জল্পনা চলেছে। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি।