Home অপরাধ বিপুল পরিমাণ সেগুন কাঠের টিম্বার সহ চেরাই কাঠ।

বিপুল পরিমাণ সেগুন কাঠের টিম্বার সহ চেরাই কাঠ।

by admin
0 comment 93 views

ধর্মনগর প্রতিনিধি।
উত্তরে বন বিভাগের অভিযানে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ সেগুন কাঠের টিম্বার সহ চেরাই কাঠ।খুশি এলাকার পরিবেশপ্রেমীরা।বনদস্যুদের সক্রিয়তা আর বন বিভাগের মিত্রতায় একাকার,উজাড় হয়ে যাচ্ছে রাজ্যের মূল্যবান বনজ সম্পদ।পরিবেশ হারাচ্ছে তার ভারসাম্য।
সমস্ত রাজ্যের পাশাপাশি উত্তর এিপুরা জেলায় ও একই অবস্থা পরিলক্ষিত হচ্ছে।মাঝেমধ্যে লোক দেখানো নাটক মঞ্চস্থ করেন বন বিভাগের কর্মীরা,তাও আবার গোপন খবরের ভিত্তিতে।এবার ধর্মনগর মহাকুমাধীন কলাছড়া ব্লকের অন্তর্গত উওর হুরুয়া চার নং ওয়ার্ডে এলাকাবাসীর খবরের উপর ভিত্তি করে বন বিভাগের হানা।স্থানীয় বন মাফিয়া তাসির আলী ও লাল মিয়া নামে দুই ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ সেগুনের টিম্বার সহ চেরাই কাঠ।জানা গেছে স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার বেলা দুই টা নাগাদ দলবল নিয়ে উক্ত অভিযানে নামেন ধর্মনগরের এসডিএফও অশোক কুমার, ও রেঞ্জ অফিসার হেমন্ত কুমার নাথ।তাদের কাছে গোপন খবর আসে যে প্রচুর পরিমাণ সেগুন কাঠের টিম্বার মজুদ রয়েছে উক্ত এলকায়। প্রথম অভিযানে তাসির আলীর বাড়িতে হানা দিয়ে উদ্ধার হয় ৩৭টি সেগুনের টিম্বার। সাথে ঘরের ভেতর ও বাহির থেকে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণ চেরাই সেগুন কাঠ।একইভাবে দ্বিতীয় অভিযানেও স্থানীয় লাল মিয়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ সেগুন কাঠ।পরে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি মালবাহী বোলোরো গাড়ি করে কাঠগুলো নিয়ে যাওয়া হয় ধর্মনগর রেঞ্জ অফিসে।এদিকে এদিনকার উক্ত অভিযান সম্পর্কে এসডিএফও অশোক কুমার জানিয়েছেন উনার কাছে গোপন খবর ছিল, সেই খবরের উপর ভিত্তি করেই এই সাফল্য পেয়েছে বন বিভাগ।জব্দকৃত সেগুন কাঠগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার উপরে হবে বলে জানিয়েছেন এসডিএফও। যদিও উক্ত অভিযানে কাউকে আটক করতে সক্ষম হয়নি অভিযানকারীরা।এ মর্মে অভিযুক্ত তাসির আলী ও লাল মিয়ার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলার রুজু করা হবে।পাশাপাশি এ ধরনের অভিযান আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন এসডিএফও অশোক কুমার।এতে মহকুমার পরিবেশ প্রেমী জনগণের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।উল্লেখ্য রাজ্যের সীমান্ত এলাকা চুরাইবাড়ি ফরেস্ট বিট অফিসের কর্মীদের বদান্যতায় প্রায় প্রতিদিনই বহি:রাজ্য পাচার হচ্ছে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ টাকার বনজ সম্পদ।সূত্রের খবর বন বিভাগের ঊর্ধ্বতম কর্মীদের ঘুমে রেখে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ একাংশ কর্মীরা।তাই পরিবেশপ্রেমীদের দাবি এদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক রাজ্য বনদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।অন্যথায় ধ্বংস হয়ে যাবে রাজ্যের বনজ সম্পদ,এতে পরিবেশ হারাবে তার ভারসাম্য,এমনটাই অভিমত পরিবেশপ্রেমীদের।

Related Post

Leave a Comment